শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘দ্বীনি শিক্ষার প্রসারে জামিয়ার শিক্ষকদের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে সরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৮:২০ অপরাহ্ন, ১৭ই জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি: সুখবর

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, নৈতিকতা ও সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষা যেন আমরা মানুষের মধ্যে দেই। বাংলাদেশে অনেক সমস্যা, অনেক বৈষম্য, অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সত্যিকারের দ্বীনি শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই। এই সত্যিকারের দ্বীনিই শিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইসলামাকি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, তিনি আমাদের যারা আলেম-ওলামা আছেন তাদের প্রতি সব সময় অনুরোধ করেন গবেষণা করতে। গবেষণা করে আমাদের দ্বীনি ব্যবস্থায় এজমা, কিয়াস করে, বাহাস করে আমরা যাতে প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি সেই লক্ষে কাজ করবে সরকার। এই লক্ষ্যে সরকার জামিয়া ( আলিয়া) মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দের সাথে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। 

বুধবার (১৭ই জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এর কনফারেন্স রুমে দেশের সর্ববৃহৎ ফাযিল/কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষগনের সংঙ্গে মতবিনিময় সভা এই কথা বলেন। মতবিনিময় শেষে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখনো আমরা অনেক বেশি অর্থডক্স এবং অপ্রচলিত বা কনভেনশনাল জায়গায় আছি। পৃথিবীর অনেক দেশ আমাদের ধর্মতত্ত্ব, ইসলামি দ্বীনি জ্ঞান অনেক বেশি এগিয়ে নিয়েছেন। সেটা মানুষের অধিকার হোক, যাকাত বা ট্যাক্স কীভাবে দেবে সে ব্যাপারে হোক, এই বিষয়গুলিতে আরো গবেষনা হওয়া দরকার। জ্ঞানী লোকরা নানান ধরনের গবেষণালব্ধ ফতোয়া দিয়েছেন। যেনোতেনো ভাবে নয়। এই গবেষণার জন্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি। সে জায়গাতে  যারা অধ্যক্ষ রয়েছেন তাদের আরো মনোযোগী হতে হবে।

আরও পড়ুন: তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

তিনি বলেন, যারা সমাজে খতিব হবেন, যারা ইমামতি করবেন তারা সমাজের নেতা। তারা শুধু ধর্মীয় নেতা নন, সমাজেরও নেতা। তারা সেই সমাজে প্রভাব বিস্তার করেন। তাদের মাধ্যমে আমরা নানান বিষয় সাধারণ জনগণকে শেখাতে পারি। সেটা  সাম্প্রদায়িক সম্পৃীতির কথা বলি, দক্ষতানির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলি। নিষ্ঠাবান হওয়ার কথা  বলি।  একটি সময় ছিলো মসিজিদ ভিত্তিক শিক্ষা দেয়া হতো। কিন্তু আমরা সে পথে হাঁটতে পারিনি। বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, ইমাম সবাই সম্মিলিত উদ্যোগে একসঙ্গে যাতে কাজ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নে সরকার বড় বড় প্রকল্প নিচ্ছে, বিল্ডিং হচ্ছে।

এসকে/ এএম/ 

শিক্ষামন্ত্রী জামিয়া ( আলিয়া) মাদ্রাসা

খবরটি শেয়ার করুন