মঙ্গলবার, ২২শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** লিটন দাস জয় উৎসর্গ করলেন নিহতদের স্মরণে *** সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে সিরিজ বাংলাদেশের *** বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি যৌক্তিক বলে মনে করে সরকার *** বিএনপি-জামায়াতসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা *** প্রধানমন্ত্রী দলীয় প্রধান হতে পারবেন না—এই দাবির যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন *** আখের চিনি দিয়ে ‘ট্রাম্প ভার্সন’ বাজারে আনছে কোকা-কোলা *** বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং *** ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি, ফিরেছেন বাসায় *** জাকেরের ফিফটিতে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ *** ২৪শে জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষাও স্থগিত

নবজাতকের শ্বাসনালিতে খাবার আটকে গেলে করণীয় কী

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:২৬ অপরাহ্ন, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

খাবার খাদ্যনালির পরিবর্তে কোনো কারণে শ্বাসনালিতে আটকে গেলে আমাদের বিষম লাগে, হেঁচকি উঠে আবার কখনো–বা নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয়। নবজাতক বা দুই থেকে তিন মাস বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। অনেক সময় নবজাতকের গলায় দুধ আটকে শ্বাসকষ্ট থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। 

নবজাতকের গলায় দুধ আটকে মৃত্যুর কারণ

১. অনেক সময়ই মা শুয়ে শুয়ে শিশুকে বুকে দুধ খাওয়ান, এই অবস্থায় দুধ খাওয়ালে বাচ্চার শ্বাসনালিতে দুধ ঢুকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।


২. শিশু অনেক কাঁদছে বা হাত-পা নড়াচড়া করছে, ঠান্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেছে, এই ধরনের অবস্থায় শিশুকে শোয়া অবস্থায় দুধ খাওয়ানো একেবারেই ঠিক নয়।

৩. অনেক পরিবারের ধারণা শিশুর নাক টিপে ধরলে শিশু বড় করে হা করবে। তখন তাকে বেশি খাওয়ানো যাবে। এই ধরনের ভুল ধারণা নিয়ে শিশুকে নাক চিপে খাওয়ালে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। 

৪. শিশুর জন্মগত অনেক ধরনের ত্রুটি থাকে। যেমন কিছু শিশুর হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র, খাদ্যনালিতে সিস্ট বা টিউমার, অতি মাত্রায় স্থুল শিশু বা অতি মাত্রায় শীর্ণ শিশু। আবার যেসব মায়ের হৃদ্‌রোগ থাকে বা যেসব শিশুর জন্মের পরে দীর্ঘ সময় শিশুদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকে, এই ধরনের শিশুদের জোর করে শোয়ানো অবস্থায় খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। 

৫. খাওয়ানোর পরে শিশুকে প্রতিবার পিঠে কয়েকবার চাপড়ে দিতে হয়। শিশুরা খাবার সময় অনেক বেশি বাতাস গিলে ফেলে। পিঠে চাপড়ে দিলে বাতাস মুখ দিয়ে বের হয়ে যাবে। শিশুকে বারবার শোয়ানো অবস্থায় দুধ খাওয়ালে এবং পিঠে চাপড়ে না দিলে দুধ খাদ্যনালির পরিবর্তে শ্বাসনালিতে পৌঁছে নিশ্বাস বন্ধ হতে পারে। 

যে সব উপসর্গ দেখে বুঝবেন শিশুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বা শ্বাসনালিতে খাবার আটকে যাচ্ছে-

১. হঠাৎ খাবারের সময় বা খাবারের পরে ছটফট করবে। শিশুর বেশি কাশি হবে এবং  ঘন ঘন শ্বাস নিবে। এ ছাড়া চোখ বড় বড় করে তাকাবে এবং মুখ দিয়ে লালা গড়িয়ে পড়বে। 

২. খাবার পরে শিশুর শরীর হঠাৎ নীলচে হয়ে গেলে বুঝতে হবে শিশুর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। কারণ, খাদ্যনালির পরিবর্তে দীর্ঘ সময় শ্বাসনালিতে দুধ আটকে থেকে শিশুর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। তখন রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। পরিণামে শিশু হঠাৎ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। 

আরো পড়ুন : শিশুর নাকে সারাবছরই সর্দি! জেনে নিন সমাধান

 করণীয়

১. শিশুকে শুয়ে শুয়ে ব্রেস্টফিডিং করানো যাবে না। কোলে নিয়ে বসে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার খাওয়ানোর পরে শিশুকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে পিঠে কয়েকবার চাপড়ে দিতে হবে। 


২. গলায় দুধ আটকে গেলে শিশুর নাক দিয়ে দুধ বের হলে সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে। শিশুকে সোজা করে বুকের সঙ্গে নিয়ে কিছু সময় পিঠের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত হাত বুলিয়ে দিতে হবে। খুব বেশি কান্নাকাটি করলে ঘরের জানালা-দরজা খুলে শিশুকে নিয়ে কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করতে হবে। 

৩. মা ও শিশুর নিউমোনিয়া বা আগে থেকে শ্বাসকষ্ট থাকলে, শিশুকে খাওয়ানোর পরে শিশুর শ্বাসকষ্ট হলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে। 

শিশুকে টিকা দেওয়ার পরে জ্বর আসতে পারে। এই সময় শিশুর নাক বন্ধ, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট থাকতে পারে। এই অবস্থায় শিশুকে খাওয়ানোর সময় যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। আপনিও ভালো থাকুন আপনার শিশুটিকেও সুস্থ রাখুন।

এস/ আই. কে. জে/


শিশু শ্বাসনালি নবজাতক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন