ছবি: সংগৃহীত
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তিন মাস) সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। সব মিলিয়ে গত তিন মাসে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১,৩৪৩ দশমিক ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে কমেছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বরাতে এ তথ্য জানান বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
ইপিবির তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস ও ইতালিতে রপ্তানি যথাক্রমে ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে ২০২২-২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় ১.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পেয়েছে, শতাংশের হিসাবে কমেছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে ২ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও রাশিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। তবে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশেও তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বড় বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি খুবই ইতিবাচক। দুই মাস ধরে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে ক্রয়াদেশ কিছুটা বেড়েছে। মূলত যেসব ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের পণ্যের মজুত কমছে, তারাই ক্রয়াদেশ দিচ্ছে। তারপরও গত বছরের তুলনায় এখনো ক্রয়াদেশ কম। যদিও প্রতিযোগী দেশগুলোতে পোশাকের ক্রয়াদেশ আমাদের চেয়েও কম। বিশ্বজুড়ে পোশাকের চাহিদা চলতি বছর কম থাকবে। তারপরও আমাদের রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় থাকবে বলে আশা করছি আমরা।
এসকে/