ছবি: সংগৃহীত
ট্রেন্ডের স্রোতে ভাসতে স্লিভলেস পোশাক পরতে ইচ্ছে হয় অনেকেরই। কিন্তু আন্ডারআর্মস বা বগলের কথা ভেবে অনেকেই তা পরতে পারেন না। সঠিক যত্নের অভাবে শরীরের এই অংশটিতে পড়ে কালচে ছাপ। এছাড়াও খসখসে, রুক্ষ ভাব তো থাকেই। আর একারণে অফশোল্ডার বা স্ট্র্যাপস পোশাক পরার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।
ঘরোয়া কিছু টোটকা মেনেই কিন্তু পালকের মতো কোমল আর মসৃণ আন্ডারআর্ম পাওয়া সম্ভব। চলুন এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই-
>> নিয়মিত এক্সফোলিয়েট
এক্সফোলিয়েট করা হচ্ছে রাসায়নিক বা প্রাকৃতিক দানাদার পদার্থ ব্যবহার করে ত্বক থেকে মৃত কোষ অপসারণের প্রক্রিয়া। এক্সফোলিয়েট করলে ত্বকের ছিদ্রও বন্ধ হয়। ফলে ত্বক হয় সতেজ আর মসৃণ।
হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করতে চিনি আর নারকেল তেলে একসঙ্গে মিশিয়ে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর তৈরি করে ব্যবহার করুন এই মিশ্রণ বৃত্তাকার গতিতে আন্ডারআর্মে আলতোভাবে স্ক্রাব করে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
>> ময়শ্চারাইজ প্রতিদিন
মসৃণ ও সুন্দর ত্বক পেতে আন্ডারআর্মস ময়শ্চারাইজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্সফোলিয়েট করার পরে, আন্ডারআর্মে পুষ্টিকর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে শিয়া বাটার বা অ্যালোভেরার মতো হাইড্রেটিং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত ময়শ্চারাইজিং করলে শুষ্কতা, জ্বালাভাব ও রুক্ষভাব দূর হয়। ত্বকে নরম ও কোমলভাব বেশি করে ফুটে ওঠে।
>> সঠিকভাবে শেভ
শেভিং করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ঠিকমতো শেভিং না করলে জ্বালাভাব বেশিদিন থাকতে পারে। তৈরি হতে পারে র্যাশেস, ইনগ্রাউন হেয়ার। শেভ করার সময় অবশ্যই ধারালো ও পরিষ্কার রেজার ব্যবহার করুন।
ত্বককে মসৃণ করতে ময়শ্চারাইজিং শেভিং ক্রিম বা জেল প্রয়োগ করতে পারেন। চুলের বৃদ্ধির যেদিকে সেদিকে শেভ করুন। শেভের পর রেজার অবশ্যই পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। শেভ করার পরে আন্ডারআর্ম ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।
>> বগলের কালো দাগ দূর করার উপায়
লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণে আন্ডারআর্মে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। কালো ছোপ হালকা করতে ও দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে এটি। এছাড়া বেকিং সোডা ও পানি দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে পারেন।
আরো পড়ুন: যেসব কৌশলে যৌবন ধরে রাখেন কোরিয়ানরা
পরিচ্ছন্ন ও মসৃণ আন্ডারআর্ম পেতে গরমকালে অবশ্যই সুতির পোশাক পরতে পারেন। এমন পোশাক পরুন যেন সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। ঘাম শোষণ করতে পারে, গন্ধ ও জ্বালা হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে এমন পোশাক পরা আবশ্যিক। আঁটসাঁট বা সিনথেটিক কাপড় এড়িয়ে চলুন। এমন পোশাকে আন্ডারআর্মে ফুসকুড়ি হতে পারে।
এম এইচ ডি/