ছবি: সংগৃহীত
এমনও মহিলা আছেন যারা একটা আরশোলা দেখলে এতোটা ভায় পান যে, সাপ দেখলেও হয়তো ততটা ভয় পাননা। আরশোলাকে আপাত দৃষ্টিতে নিরীহ গোছের সাধারণ পোকা মনে হলেও এটি কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর! কারণ, আরশোলা ময়লা আবর্জনা থেকে উঠে আসে আরশোলার গায়ে বা পায়ের সঙ্গে নানা ক্ষতিকর রোগ-জীবানু বহন করে বেড়ায়।
আপনার সারা ঘরময় ঘুরে বেড়ায়, খাবার-দাবারের উপর হেঁটে বেড়ায়। ফলে আরশোলা গায়ে বা পায়ে লেগে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু আমাদের খাবারের সংস্পর্শে আসে আমাদের ক্ষতি করে। নানা রোগ-জীবানু ছড়ায় এই আরশোলার থেকেই। তাই ঘর-বাড়ি থেকে আরশোলা দূর করা অত্যন্ত জরুররি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক বাড়ি আরশোলা-মুক্ত করার ৩ টি উপায়।
১) চিনি ও বেকিং সোডার ব্যবহার: আরশোলা বেকিং সোডার গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। সমপরিমাণ চিনি আর বেকিং সোডা একসঙ্গে মিশিয়ে বাড়ির সব কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। চিনির গন্ধে আরশোলা আকৃষ্ট হয়ে বেকিং সোডা মিশ্রিত চিনি খেয়ে মারা পড়বে। সপ্তাহে দু’ দিন করে অন্তত তিন সপ্তাহ এই পদ্ধতিটি কাজে লাগাতে পারলে আরশোলার উপদ্রব থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
২) বোরিক পাউডারের ব্যবহার: বোরিক পাউডার মূলত একধরণের অ্যাসিডিক উপাদান যা পোকামাকড়ের যন্ত্রণা কমাতে সহায়ক। তবে আরশোলার উপদ্রব বন্ধ করার ক্ষেত্রেও বোরিক পাউডারের ব্যবহার করা চলে। ১ চামচ বোরিক পাউডার, ২ চামচ ময়দা বা আটা আর ১ চামচ কোকো পাউডার এক সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে এই মিশ্রণটি বাড়ির সব কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। আরশোলা এই মিশ্রণে আকৃষ্ট হয়ে বোরিক পাউডার খেয়ে মারা পড়বে। সপ্তাহে তিন দিন করে অন্তত দু’ সপ্তাহ এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করতে পারলে আরশোলার উপদ্রব থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৩) তেজপাতার ব্যবহার: আরশোলা তাড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সস্তা উপাদান হল তেজপাতা। তেজপাতার তীব্র গন্ধ আরশোলা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। তেজপাতা গুঁড়ো করে বাড়ির সব কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন এই ভাবে তেজপাতা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারলে আরশোলার উপদ্রব থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
এসি/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন