ছবি: সংগৃহীত
হারিয়ে গেল আরেকটি বছর, খ্রিষ্টীয় ২০২৩ সাল। বিদায়ী বছরের সব দুঃখ-বেদনা ভুলে রোববার (৩১শে ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্বের অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন আশায় বরণ করে নিয়েছে ২০২৪ সালকে।
নতুন বছর মানেই নতুন উদ্দীপনা, নতুন প্রেরণা নিয়ে এগিয়ে চলা। পেছনে ফেলে আসা বছরের ভুল, হতাশা, দুঃখ, গ্লানিকে দূরে ঠেলে নতুন উদ্যমে সাহস নিয়ে পথচলা। দেশজুড়ে শীতের মাঝে উত্তাপ নিয়ে এসেছে ইংরেজি নতুন বছর।
সভ্যতার ইতিহাস বলে, অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার এই স্পৃহা মানুষকে নিয়ে এসেছে এতদূর। তাই নতুন বছরে নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে এগিয়ে যাবে বিশ্বের অন্যান্য জাতির মতো বাঙালিরাও।
শিক্ষাঙ্গন, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক নানা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাবে- এমন প্রত্যাশা দেশের সব মানুষের।
এদিকে বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সবার আগে ইংরেজি নতুন বছর ২০২৪ সালকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতেও আলো ঝলমলে, আকর্ষণীয় আতশবাজির মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে নতুন বছরকে।
আর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে নিউজিল্যান্ডেরও একঘন্টা আগে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ কিরিবাতির বাসিন্দারা।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে রোববার বিখ্যাত স্কাই টাওয়ার ঘিরে জড়ো হয় কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই স্কাই টাওয়ার থেকে আতশবাজির মনোমুগ্ধকর ছটায় আলোকিত হয় অকল্যান্ডের আকাশ। সবাই সমস্বরে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
নিউজিল্যান্ডের পরই নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি চলে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির সিডনি শহরের হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজ ঘিরে প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবারও তেমনই হয়েছে।
নতুন বছর উপলক্ষে এবার ৮ দশমিক ৫ টন আতশবাজি ফোটানো হয় সেখানে। নতুন বছরকে সামনে রেখে সিডনিতেই প্রতিবছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় আয়োজনে আতশবাজি হয়। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা সেখানে নতুন বছর উদযাপন করতে যান।
ওআ/ আই.কে.জে/