সোমবার, ৭ই এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বেড়েছে কোটিপতির সংখ্যা, করদাতা বাড়েনি’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৩২ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

দেশে কোটিপতির সংখ্যা যে হারে বেড়েছে সে হারে করদাতা বাড়েনি। এটা খুবই লজ্জাজনক উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। অথচ কর জিডিপির হার এখনও ১০ শতাংশের নিচে। এ ছাড়া ঋণের হার এখন ৪২ শতাংশ। এর মধ্যে বিদেশি ঋণের হার ২১ শতাংশ। এটা আরো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

শনিবার (৩০শে ডিসেম্বর) রাজধানীর প্রেস ক্লাবে ‘ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

ইংরেজি দৈনিক ‘বিজনেস আই’ আয়োজিত এই আলোচনায় অংশ নেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. এম শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পিকেএসএফের সাবেক চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি আমীন হেলালী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান, অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। বিজনেস আই সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন গ্লোবাল টিভির সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

আরো পড়ুন: আপনাদের সব দেনা পরিশোধ করবো: ইভ্যালির সিও

অর্থনীতিবিদ খলীকুজ্জমান বলেন, দেশে অর্থনীতি কিংবা সুশাসেনর প্রশ্নে বিদ্যমান নীতি কাঠামোর কোনো ঘাটতি আসলে নেই। আমাদের সমস্যা শুধু বাস্তবায়নে। ব্যক্তি পর্যায়ে মূল্যবোধের বিরাট অবক্ষয় সেটি হতে দিচ্ছে না। এ কারণে দেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। ফলে দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু চাই আরো সম্পদ বাড়বে, আরো ধনী হবো। এরকম চিন্তাধারা সমাজের বৈষম্যকেও প্রকট করে তুলছে। আমাদের এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে। মানুষকে তার অধিকার বুঝিয়ে দেওয়া এবং আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করাই এই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি। যেখানে সংস্কৃতি ও বিনোদন চিন্তাকেও একইভাবে দেখতে হবে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক উন্নয়নের চরিত্রকে দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে রুখতে হবে। এজন্য দরকার শিক্ষা, অর্থনীতি ও কর্মের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সবার সমান সুযোগ তৈরি করা। একই সঙ্গে সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে বেরিয়ে আসা। তাহলে দুর্নীতি ও বৈষম্য দুটোই কমে আসবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, গত ৫০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তার সিংহভাগই হয়েছে ১৫ বছরে। এই দেড় যুগে দেশ অনেক এগিয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের শক্তি জুগিয়েছে। পাশাপাশি উদার গণতন্ত্রের চর্চা তৈরি হয়েছে। এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে আরো এগিয়ে নিতে আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে আগামীর উন্নয়ন পরিকল্পনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে আর্থিক খাতে সুশাসনের কথা বলা হয়েছে। দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স হিসেবে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঋণ ও করখেলাপিদের জেলে নেওয়ার সঙ্গে প্রয়োজনে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও ঘোষণা দিয়েছেন। মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় নীতি সুদহার ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

এসকে/


কোটিপতি করদাতা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন