ঘানার পতাকা
আফ্রিকার ২৯তম ও বিশ্বের ১২৯তম দেশ হিসেবে মৃত্যুদণ্ড রদ করেছে ঘানা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) দেশটির প্রেসিডেন্ট নানা আদো দাঙ্কোয়া আকুফো এ সংক্রান্ত দু’টি বিলে স্বাক্ষর করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজ।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার মোট আয়তন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩৫ কিলোমিটার, জনসংখ্যা মাত্র ৩ কোটি ২০ লাখ। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসের নেতা ফ্রান্সিস জেভিয়ার সোসু গত ২৫ জুলাই মৃত্যুদণ্ড রদ বিষয়ক বিলটি পার্লামেন্টে উত্থাপন করেন। পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর সেটি পাঠানো হয়েছিল প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে। সোমবার সেই বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট।
ঘানায় হত্যা মামলার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রধান বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করায় এখন থেকে কোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে আর মৃত্যুদণ্ড দিতে পারবেন না ঘানার কোনো আদালত। এদিন এ সংক্রান্ত আরও একটি বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট আকুফো। সেই বিলটিতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ঘানার বিভিন্ন কারাগারে মোট ১৭৬ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ১৭০ জন পুরুশ ও ৬ জন নারী। রাষ্ট্রপতি ২য় বিলে স্বাক্ষরের পর তাদের সবার সাজা যাবজ্জীবন কারাবাসে রূপান্তরিত হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক জনসমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘানার অধিকাংশ জনগণ সাজা হিসেবে মৃত্যদণ্ড বাতিলের পক্ষে।
এদিন রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষরের পর সরকারি দলের নেতা সোসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড রদ হওয়ার এই আইন প্রমাণ করে যে আমরা ঘানাকে আর অমানবিক, অসভ্য, বদ্ধ, অন্ধকার ও অধোগতির দেশ হিসেবে দেখতে চাই না এবং আমরা বিশ্বাস করি যে জীবনের পবিত্রতা অলঙ্ঘনীয়।'
উল্লেখ্য, এর আগে বিভিন্ন সময়ে জাম্বিয়া, ইকোয়েটোরিয়াল গিনি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, সিয়েরা লিওন, শাদসহ আফ্রিকার ২৮টি দেশ সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ড রদ করেছে।
এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন