ছবি: সংগৃহীত
৪ দিনেই নিষ্পত্তি হলো হেডিংলি টেস্ট। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও নাটকীয়তার কমতি ছিল না। লড়াইয়ে কখনও অস্ট্রেলিয়া এগিয়েছে, কখনও ইংল্যান্ড। তবে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর হেডিংলি টেস্ট জিতে অ্যাশেজের লড়াই জমিয়ে তুলল বেন স্টোকসের দল।
হেডিংলি টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচ জিতে মার্যাদার লড়াইয়ে টিকে থাকল ইংলিশরা। তবে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে এখনও এগিয়ে অজিরা।
চতুর্থ দিন জয়ের জন্য ২২৪ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের, হাতে ১০ উইকেট। দিনের দ্বিতীয় সেশনে বেশকিছু উইকেটে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও হ্যারি ব্রুক এবং ক্রিস ওকসের নৈপুণ্যে ৩ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
২৫১ রানের লক্ষ্যতাড়ায় নেমে চতুর্থ দিনের শেষদিকে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান করেন জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট। তবে চতুর্থ দিন সকালে খুব বেশিক্ষণ তিকতে পারেননি তারা। মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ডাকেট ফিরলে ভাঙে ৪২ রানের জুটি।
এরপর অদ্ভুত এক সিদ্ধান্ত নেয় ইংলিশরা। তিনে মঈন আলীকে নামিয়ে দেন বেন স্টোকসরা। তবে পরিবর্তিত পরিকল্পনা খুব একটা কাজে দেয়নি। স্টোকসের দারুণ এক বলে ৫ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন স্টোকস।
জোড়া উইকেট হারালেও জো রুটকে নিয়ে জ্যাক ক্রলি ভালোই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ক্রলিকে ফিরিয়ে আবারও ব্রেক থ্রু আনেন স্টার্ক। এরপর রুটও ড্রেসিংরুমে ফেরেন বাজে শট খেলে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে উইকেট উপহার দিয়ে। টেস্টে এ নিয়ে ১১ বার কামিন্সের শিকার হলেন রুট।
আরো পড়ুন:সৌরভের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট যারা
স্টোকস আর বেয়ারস্টোও ফেরেন দ্রুত ব্যবধানে। ১৬১ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে যখন ধুকছে ইংল্যান্ড, তখন ঘুরে দাঁড়ান হ্যারি ব্রুক। চার বছর আগের স্টোকসের মতো দলকে জিতিয়ে ফিরতে না পারলেও ৯৩ বলে ৯ চারে ৭৫ রান করা ব্রুক ফিরেছেন দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়ে।
সহজ হয়ে ওঠা ম্যাচটিই যেন আবার কঠিন হয়ে গেল ইংল্যান্ডের জন্য। হাতে যে উইকেট মাত্র ৩টি। নতুন ব্যাটসম্যান মার্ক উড অবশ্য ঘাবড়ালেন না। প্রথম ইনিংসের মতোই এবারও মেরে খেলতে শুরু করে ৮ বলে করে ফেললেন ১৬ রান। তাতে চাপটাপ সব উড়ে গেল। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইংল্যান্ড।
এম/