শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে রাশিয়া: পুতিন *** আড়াই ঘন্টা বাইরে থেকে খাঁচায় ফিরল সিংহী ডেইজি *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি *** খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাচ্ছে কাতার *** প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা মাহফুজ আনামের *** প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত তেলের জন্য হাঙর শিকার, বিলুপ্তি ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ *** শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘তারেক রহমান যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে পারতেন’ *** শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে *** চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল

লাতিন আমেরিকায় চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৪ অপরাহ্ন, ৭ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ইউএস সাউথার্ন কমান্ড (সাউথকম) জেনারেল লরা রিচার্ডসন বলেন, চীন তার কুখ্যাত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ দ্বারা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে আসছে।

পশ্চিম সীমান্তে যদিও এখনও চীনা ঘাঁটি নেই, তবুও ২০১৯ সালে কিউবায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সুবিধা গ্রহণের জন্য চীনা ঘাঁটি তৈরির খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে বিশেষ করে, পানামা খাল এবং ম্যাগেলান প্রণালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জলপথ বরাবর গভীর জলবন্দর নির্মাণের জন্য চীন দ্বৈত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে জানান রিচার্ডসন। 

দক্ষিণ এবং মধ্য আমেরিকাতে চীনা টেলিকম অবকাঠামোর বিস্তারের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এখানকার পাঁচটি দেশ ইতিমধ্যে ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য চীনাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। আরও ২৪টি দেশ তাদের ৩জি ও ৪জি মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল। চীন তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে যেন মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য তারা চীনের উপরেই নির্ভরশীল থাকে।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র কোনও ধরনের সুবিধাই প্রদান করতে পারেনি।

দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য চীনের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে চীন সামরিকভাবে অনুপ্রবেশ চালাতে পারে। সাউথকমের রিচার্ডসন মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় চীনের প্রবেশ সম্পর্কে এই প্রথমবারই সতর্ক করছেন না। পূর্বেও তিনি বারবার এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। 

ইতিমধ্যে লাতিন আমেরিকার ৩১টি দেশের মধ্যে ২১টিই বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে স্বাক্ষর করেছে এবং ১৭টি দেশ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

আরো পড়ুন: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু বলেন, আজ পর্যন্ত, বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ দেশ এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। ফলে ৪,২০,০০০ জনের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সারাবিশ্বকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর গুরুত্ব অনেক।

তিনি বলেন, চীন কখনোই অন্য দেশের উপর তার প্রকল্পকে চাপিয়ে দেয় না, বরং অন্যান্য দেশই এ প্রকল্পের সুবিধা দেখে এ প্রকল্পটিকে সমাদরে গ্রহণ করছে।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকা চীনা বিনিয়োগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250