ছবি: সংগৃহীত
চিনি হলো একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি। অনাদিকাল থেকে খাদ্যের আকর্ষণীয় উপাদান এটি। তবে স্বাস্থ্যের জন্য সাদা চিনি, বাদামি চিনি—কোনটা তুলনামূলক ভালো?
বাদামি ও সাদা চিনির ক্যালরি খুব কাছাকাছি। যেমন এক টেবিল চামচ বাদামি চিনিতে ১৫ ক্যালরি আর সমপরিমাণ সাদা চিনিতে ১৬.৩ ক্যালরি থাকে। বাদামি চিনিতে ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, কপার, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায়। কিন্তু বেশি প্রক্রিয়াকরণের কারণে সাদা চিনিতে ক্যালরি ছাড়া অন্য কোনো খনিজ উপাদান নেই এবং সালফার থাকায় মানবদেহের জন্য ঝুঁকিও থাকে। একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে কোনো কিছু অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনি যদি চিনির কথা বলি, বাদামি চিনিতে কিছু ভালো পুষ্টি আছে শুনে আতিরিক্ত খাওয়া শুরু করে দিলে কিন্তু হবে না।
আমরা কেন বাদামি চিনি খাবো চলুন জেনে নেয়া যাক, তার কিছু গুণাগুণ-
১. প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকার কারণে বাদামি চিনি খেলে হাড় শক্তপোক্ত হয়। সেই সঙ্গে দাঁতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। ক্যাভিটি এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কাও দূর হয়।
২. আখের অ্যাটিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করে এবং শরীরের ভেতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়।
৩. লিভার সুস্থ রাখে।
৪. জন্ডিসের প্রকোপ কমায়।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৬. আখে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৭. শরীরে মিনারেল তথা খনিজ পদার্থের চাহিদা পূরণ করে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে, যা স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
৮. শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
লাল চিনি রিফাইন বা পরিশোধন করতে গিয়ে ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর হয়ে যায়। চিনি পরিশোধ করতে ব্যবহার করা হয় সালফার এবং হাড়ের গুঁড়া।
পুষ্টি বিজ্ঞানী ড. উইলিয়াম কোডা মার্টিন সাদা চিনিকে ‘বিষ’ বলেছেন। তাই সাদা চিনি বাদ দিয়ে তিনি বাদামি চিনি খাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
আসুন আমরা সবাই সাদা চিনির পরিবর্তে বাদামি চিনি ব্যবহার করি, সুস্থ থাকি।