শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এআই

স্থানীয় ভাষা বুঝবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা!

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১৯ অপরাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৩

#

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ক্ষতির ঝুঁকি থাকে।

ভারতের চেন্নাই শহরের হাসপাতালগুলো দেশটির রোগীদের কাছে সুপরিচিত ও নির্ভরযোগ্য। শুধু ভারত বা দক্ষিণ এশিয়া নয়, সারাবিশ্বের কাছেই চিকিৎসার জন্য চেন্নাই স্বনামধন্য। শহরের বড় হাসপাতালের ডাক্তারদের ভাষাশিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়।

বিশেষ করে হিন্দি, তেলেগু, মারাঠি এবং বাংলা ভাষায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। চেন্নাইয়ের হাসপাতালগুলোতে বেশিরভাগ বিদেশি রোগীরা আসেন। বিদেশি রোগীদের সঙ্গে ভাষাগত সমস্যা থাকলে ডাক্তাররা আগত রোগীদের রোগের বিষয়ে ঠিকঠাক ধারণা নিতে পারেন না।

কল্পনা করা যাক, ডাক্তারদের যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (AI) অ্যাপে সংযুক্ত করা যায় তাহলে শুধু ভারতীয় ভাষা নয় (বেশিরভাগ উপভাষা) অন্যসব ভাষাতেও রোগীদের ভাষা বুঝে ইংরেজি বা ডাক্তারের পছন্দের ভাষায় অনুবাদ করে দিলে চিকিৎসা সেবায় নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।

ভারতে বহু ভাষা প্রচলিত। কিন্তু আপাতত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল সাধারণত ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা নিশ্চিত করছে। সারাবিশ্ব টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয়-ভাষা (এআই) মডেলের বিকাশে গবেষণা ও উন্নয়নে কাজ করছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) জগতে ভাষা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাধাও বলা যেতে পারে। ইতিমধ্যে উবার স্বনিয়ন্ত্রিত (সেলফ ড্রাইভিং) গাড়িগুলো যখন নির্দিষ্ট কোন দেশের সুনির্দিষ্ট লোকেশনের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে তখন সেখানকার সাইন ল্যাঙ্গুয়েজগুলো তাকে বুঝতে হয়। যেমন রাস্তায় যে ধরনের ট্রাফিক নির্দেশনা থাকে তাতে স্থানীয় ভাষা ব্যবহার করা হয়। ভাষাগুলো যদি সিস্টেম বা মেশিন ধরতে না পারে তাহলে সে নির্ভুল নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হবে।

বহু ভাষা আছে যা সুস্পষ্ট উচ্চারণের উপর বোধগম্যতা নিশ্চিত করে। ভাষা বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে পরিবর্তন হয় সবকিছু। স্থানীয় ভাষার বহুমাত্রিক ব্যবহারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সিকে চূড়ান্ত সতর্কতা নিশ্চিত করতে হবে। যদি ভাষাগত কারণে ভুল উপাত্ত গৃহিত হয়, তাহলে কৃত্রিম সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল পরামর্শ প্রদর্শিত হবে।

ভাষাগত বোধগম্যতা নিশ্চিত হলে গুগল উদ্ভাবিত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির আরও বহু নিত্যনতুন চমক দেখার অপেক্ষায় আছে সবাই। কণ্ঠ নির্দেশক সিরির কথাই ভাবুন না কেন, গুগল ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট আপনার আগের কনভারসেশনের উপর ভিত্তি করে সদুত্তর দিয়ে থাকে। যা কি না আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির সফল উদাহরণ। স্মার্টফোনের স্ক্রিনে কী ঘটছে তা বিবেচনা করে দারুণ সব উপভোগ্য উত্তর নিশ্চিত করে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন: ওয়াই-ফাইয়ের পাসওয়ার্ড দেখা যাবে উইন্ডোজে

ডিজিটাল বিশ্লেষকেরা অবশ্য বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে ভাষাগত সীমাবদ্ধতা নিয়ে কাজ চলছে। যদিও ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার স্পর্শকাতরতা আছে। তাকে সঠিকভাবে পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সাফল্যের বদলে ক্ষতির ঝুঁকি থেকেই যায়।

এম এইচ ডি/আই. কে. জে/

এআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

খবরটি শেয়ার করুন