ছবি-সংগৃহীত
রেডিও জকি (আরজে) কিবরিয়া ‘আপন ঠিকানা’ ইউটিউব চ্যানেলটি ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় চালু করেছিলেন। সম্প্রতি এই চ্যানেলটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে আলাদাভাবে বিশেষ স্বীকৃতি পেল।
মূলত এফএম রেডিওতে এই কথাবন্ধুর করা ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অনুষ্ঠানের নতুন সংস্করণ এটা। যেখানে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানুষদের গল্প শোনা হতো। দিন কয়েকের মধ্যেই এটি হয়ে উঠে পরিবারকে খুঁজে পাওয়ারও অনন্য এক প্ল্যাটফর্ম।
ঠিক এভাবেই গত তিন বছরে অনুষ্ঠান হয়েছে ৪০০টির বেশি। আর এর মাধ্যমে প্রায় ৩৫০ জন ফিরে যেতে পেরেছেন নিজ পরিবার ও স্বজনদের মাঝে।
ইউটিউব এটাকে মানবিকতা ও দায়বদ্ধতার অসাধারণ স্বাক্ষর হিসেবে মনে করছে। আরজে কিবরিয়া ও তার আপন ঠিকানা নিয়ে তাদের ব্লগে প্রকাশ করেছে বিশেষ পোস্ট। যেখানে বলা হয়, হৃদয়ভাঙা আবেগের সব ইউনিক গল্প থাকায় চ্যানেলটি যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে তেমনি প্রিয়জনও তার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পেরেছেন। আর এ কারণেই আরজে কিবরিয়াকে নিয়ে বিশেষ লেখা প্রকাশ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাধীন কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রতিষ্ঠান ইউটিউব।
এমন স্বীকৃতিতে নিজের অনুভূতি জানিয়ে কিবরিয়া বলেন, ‘প্রথমত, এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। কারণ আমার জানা মতে, এর আগে বাংলাদেশ থেকে কোনো কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে নিয়ে ইউটিউব তাদের ব্লগে এমন পোস্ট করেনি। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিকভাবে আপন ঠিকানা এমন একটা প্ল্যাটফর্মে আলাদাভাবে স্বীকৃতি পেল যেখানে সারা বিশ্বের স্বীকৃত কনটেন্টগুলো নিয়ে কথা বলা হয়।
ইউটিউবের পক্ষে থেকে এমন স্বীকৃতি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের জন্য বিশাল এক অর্জন; যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
আরজে কিবরিয়া জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তাঁদের স্বজনদের ফিরিয়ে দেওয়াটা সারা বিশ্বেই অদ্বিতীয় একটা ঘটনা। ইউটিউব যদি চায়, বিশ্বের অন্য দেশেও এমন অনুষ্ঠান করতে, কিবরিয়ার প্রতিষ্ঠান তাঁদের যথার্থ সহযোগিতা করবে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে জিতের ‘মানুষ’ মুক্তি পাচ্ছে কাল
প্রসঙ্গত, আরজে কিবরিয়ার পুরো নাম মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে রেডিওতে তাঁর পথচলা শুরু। এরপর টিভি অনুষ্ঠানেও নিয়মিত পাওয়া গেছে। তবে বিগত বছরগুলোতে তিনি ইউটিউবে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করে আসছেন।
এসি/ আই. কে. জে/