ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য-উপাত্ত সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরের (এসওপি) খসড়া চূড়ান্ত করেছে। খসড়ায় তথ্য সংশোধনের ধরন অনুযায়ী কী কী দলিলাদি দিতে হবে-তা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে কতদিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে সে বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি।
এনআইডির তথ্য সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসওপি খসড়া অনুমোদনের জন্য আজ নির্বাচন কমিশন সভায় তোলা হচ্ছে। নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সভায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হতে পারে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করার বিষয়টিও সভায় তোলা হচ্ছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনসংক্রান্ত এসপিওতে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা কী ধরনের তথ্য সংশোধন করতে পারবেন সেটা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এটি কমিশনে তোলা হবে। সূত্র জানায়, প্রতি মাসে সারা দেশে গড়ে এক লাখ ২০ হাজার মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধনের আবেদন করেন। এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। বর্তমানে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খানের নেতৃত্বে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ’ কমিটির সভায় এসওপি চূড়ান্ত করা হয়।
তথ্য সংশোধনে যে ধরনের দলিলাদি লাগবে : জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর নিজের নাম, বাবার নাম ও মায়ের নামের মূল অংশ ঠিক রেখে আংশিক পরিবর্তন, তিন বছর পর্যন্ত বয়স সংশোধন, জন্মস্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাসহ ১৭ ধরনের তথ্য সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করবেন উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তা। একই ধরনের ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও। এ ধরনের তথ্য সংশোধনকে ‘ক’ ক্যাটাগরি বলে আখ্যায়িত করা হবে। আঙ্গুলের ছাপ যুক্ত করা, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন, ধর্ম ও লিঙ্গ পরিবর্তনও ‘ক’ ক্যাটাগরিতে পড়বে।
এসওপিতে বাবা বা মায়ের নামের আংশিক বা আমূল পরিবর্তনের ক্ষমতা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে। আগে এ ক্ষমতা ছিল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের। এ ধরনের সংশোধনকে ‘গ’ ক্যাটাগরি থেকে নামিয়ে ‘খ’ ক্যাটাগরি করা হয়েছে। এছাড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সাত বছর ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঁচ বছর বয়স সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আগে অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কোনো এখতিয়ার ছিল না। স্থায়ী ঠিকানা সংশোধন, ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ পরিবর্তনের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয়পত্রধারীর পুরো নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আরও সহজ করা হয়েছে। এ ধরনের সংশোধন ‘গ’ ক্যাটাগরি হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আগে এটি ‘ঘ’ ক্যাটাগরি ছিল। এ ধরনের সংশোধনের ক্ষমতা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: রাজনীতিবিদরা সম্পদের রক্ষক, ভক্ষক হতে পারেন না : হাইকোর্ট
এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/
জাতীয় পরিচয়পত্র প্রবাসী বাংলাদেশ ভোটার তথ্যপ্রযুক্তি নির্বাচন কমিশন
খবরটি শেয়ার করুন