ছবি-সংগৃহীত
ভোজনরসিক বাঙালির পুজো মানেই পেটপুজো। আর সেই রসনা তৃপ্ত হলে, উদর ‘বাবাজি’র থেকে বেশি খুশি বোধহয় আর কেউ হন না! উৎসবের প্রহর দুয়ারে কড়া নাড়লেই আনন্দের স্বাদ আরও বেশি করে চেটেপুটে নিতে চায় মন।
সারা বছর অফিস-বাড়ি সামলে বিশেষ কিছু রান্না করার সুযোগ হয় না। পুজোর দিনগুলোয় পরিবারের জন্য রান্না নিয়ে একটু এক্সপেরিমেন্ট করবেন ভাবছেন?
উপকরণ
মুরগির মাংস ১ কেজি, সরষের তেল ১২০ গ্রাম, তেজপাতা, শুকনো ঝাল ২ টো, পাঁচফোড়ন ১ চা-চামচ, চিনি ১ চা-চামচ, হলুদ-ধনে প্রতিটা ১১/২ চা-চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা-চামচ, ফেটানো টকদই ২৫ গ্রাম, পেঁয়াজবাটা ২টি বড় সাইজের, আদা-রসুন-কাঁচাঝাল বাটা ৪ চা-চামচ, টমেটো বাটা ১টা, স্বাদমতো নুন, লেবুর রস ১ চা-চামচ।
পদ্ধতি
কড়াইয়ে এক চা-চামচ সরষের তেল গরম করে তাতে গোটা শুকনো ঝাল, তেজপাতা ও পাঁচফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। মাংস ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে তাতে এই ফোড়ন ও তেল ঢেলে নিয়ে ভালভাবে মাখিয়ে নিন।
এবার কড়াইয়ে আবার হাফ চা-চামচ তেল গরম করে তাতে এক চামচ চিনি দিন। চিনি গলে এলে এবার একে-একে ধনে গুঁড়ো, ঝাল গুঁড়ো, হলুদ দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিন। আঁচ কমিয়ে রাখুন, নাহলে মশলা পুড়ে যেতে পারে।
এবার এতে টকদই মিশিয়ে ভালভাবে কসুন, স্বাদমতো নুন দিন। এই কসানো মশলা চিকেনের পাত্রে ঢেলে আবার খানিক্ষণ ম্যারিনেট করে রেখে দিন ঘণ্টা দুয়েক।
এরপর কড়াইতে পরিমাণমতো তেল গরম করে তাতে পাঁচফোড়ন দিয়ে সুগন্ধ বেরলে পেঁয়াজ বাটা, আদা, রসুন কাঁচাঝাল বাটা দিয়ে কসুন। এবার টমেটো বাটা দিয়ে কসুন আরও মিনিট সাতেক। যতক্ষণ না সমস্ত মশলার কাঁচা গন্ধ কেটে যায়।
আরো পড়ুন: চলুন জেনে নিই, বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত সব খাবার
মশলা থেকে তেল বেরিয়ে এলে ম্যারিনেট করা চিকেন দিয়ে দিন। সমস্ত মশলা ও চিকেন ভালভাবে নাড়াচাড়া করে মাঝারি আঁচে কসে নিন মিনিট দশেক। ঢাকা দিয়ে রাখুন মাংস সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত। ঢাকা খুলে নামানোর আগে লেবুর রস ও তিন চারটে কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে দিন।
সাদা ভাতের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে, চাইলে রুটি বা পরোটার সঙ্গেও। তবে সেক্ষেত্রে ঝোল টানিয়ে গা মাখা করে নিলে ভাল। অষ্টমীর দিন আমিষ খেতে না-চাইলে একই পদ্ধতিতে পনির দিয়েও ট্রাই করা যেতে পারে।
এসি/ আই.কে.জে