ছবি: সংগৃহীত
জীবনে অন্তত একবার প্রেমে পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে কেউ দ্রুত পড়েন, তো কেউ ধীরে। অনেকেই আবার একাধিকবার পড়েন। তাই তো কলকাতার জনপ্রিয় গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী গেয়েছেন, প্রেমে পড়া বারণ/কারণে অকারণ।
যেকোনো বয়সেই মানুষ প্রেমে পড়তে পারেন। কারও জন্যই এটা বারণ নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বোকারা দ্রুত পড়েন! আর বুদ্ধিমান মানুষদের পক্ষে অতটা সহজ নয়। কারণ তাদের মনে বিশ্বাসের চেয়ে যুক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি। এর কারণেই ভালোবাসার স্বপ্ন ভাঙার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে ওঠে। বুদ্ধিমান মানুষেরা জীবনের ভবিষ্যৎ ভেবে সম্পর্ক স্থাপন করেন। এ ক্ষেত্রে মনের মতো সঙ্গী না পেলে অধিকাংশ সময়ই তারা একা থাকতে পছন্দ করেন।
যেসব কারণে বুদ্ধিমান মানুষেরা প্রেমে পড়েন না-
১। ভালোবাসার সম্পর্ক প্রতি মুহূর্তে বদলাতে থাকে। বিষয়টি বুদ্ধিমান লোকেরা আগে থেকে বুঝতে পেরে আলাদা পথ বেছে নেন। যে কারণে তাদের আর সম্পর্কে জড়ানো হয় না।
২। বুদ্ধিমান মানুষ কোনো কিছু ঢাক-ঢোল পিটিয়ে করা পছন্দ করেন না। যেকোনো কাজ শান্তভাবে করেন। তবে কিছু মানুষ এ বৈশিষ্ট্যগুলোকে অহংকার হিসেবে ধরে নেন।
৩। জীবনে প্রেম-ভালোবাসার গুরুত্ব কম দিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে অটুট থাকেন বুদ্ধিমান মানুষরা।
৪। বুদ্ধিমান মানুষরা যেকোনো বিষয় নিয়ে বেশি ভাবেন। কোন সিদ্ধান্তের পরিণতি কী হতে পারে—তা নিয়েই চিন্তায় মগ্ন থাকেন। তাই তারা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেন।
৫। কার সঙ্গে থাকতে পারবেন, আর কার সঙ্গে পারবেন না—তা বুদ্ধিমান মানুষজন অল্প সময়েই বুঝে যান। তাই অযথা ভুল ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখার চাইতে তারা একা থাকতে পছন্দ করেন।
৬। কথায় আছে, খালি কলসি বাজে বেশি। বুদ্ধিমান মানুষজনও বেশি কথা বলতে পছন্দ করেন না। তাদের এই শান্ত স্বভাবকে অনেকে অহংকার হিসেবে ধরে নেন। তাই দূরত্ব বজায় রাখেন। এমন মানুষের মন বোঝা সহজ নয় বলে মনে করেন।
৭। বুদ্ধিমান মানুষের জীবনে ভালোবাসাই সবকিছু নয়। এটি তদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ মাত্র। এমন মানুষজন নিজেদের নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য স্থির করে নেন। আর তাতেই অবিচল থাকেন।
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন