ছবি : সংগৃহীত
শিমুল মূল ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়, গাছের গায়ে কাঁটা থাকে। কাঁটার গোড়া মোটা এবং অগ্রভাগ সরু ও তীক্ষ্ণ। পাতা বোঁটাযুক্ত, করতলাকার যৌগিক, ৫-৭ টি পত্রক নিয়ে গঠিত। শীতের শেষে পাতা ঝরে পড়ে। বসন্তে ফুল হয়, ফুল লালচে বর্ণের। পাঁচ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট লম্বাকৃতি ফল হয়। ফলের ভিতরে তূলা ও বীজ হয়। শিমুলের ভেষজ গুণাবলি অপরিসীম। সমগ্র গাছের সকল উপাদান থেকেই ভেষজ ওষধ প্রস্তুত করা যায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক শিমুল সম্পর্কিত কিছু মূল্যবান তথ্য-
নাম-
প্রচলিত নামঃ শিমুল গাছ, তুলাগাছ
ইউনানী নামঃ সেম্ভল
আয়ুর্বেদিক নামঃ শিমুল, শেম্ভল
ইংরেজি নামঃ Cotton tree, Red silkcotton tree
বৈজ্ঞানিক নামঃ Bombax ceiba Linn
পরিবারঃ Bombacaceae
আরো পড়ুন : যৌবন ধরে রাখতে খান থানকুনি পাতা
প্রাপ্তিস্থান
শিমুল মূল বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়
শিমুল মূল রোপনের সময় ও পদ্ধতি
প্রতি বছর বসন্তের শেষ দিকে শিমুলের ছোট শাখা কেটে লাগালেই চলে। শিমুলের বীজ থেকেও শিমুল চারা হয়ে থাকে।
রাসায়নিক উপাদান
শিমুল ছালে ট্যানিন, স্টেরল, ফিনল জাতীয় পদার্থ, লুপিয়ল, ন্যাফতোকুইনোন, ল্যাকটোন ও গ্লাইকোসাইড বিদ্যমান। বিচিতে টকোফেরল ও টার্পিন থাকে।
ব্যবহার্য অংশ
মূল, গাছের ছাল, কষ, ফুল ও বীজ।
গুনাগুন
শিমুল শুক্রবর্ধক, প্রদর ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে কার্যকর। বলকারক, কামোদ্দীপক, মলরোধক। মেছতা, উদরাময় ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে উপকারী।
বিশেষ কার্যকারিতা
শুক্রবর্ধক, প্রদর ও অতিরিক্ত রক্তস্রাবে অধিক কার্যকরী।
বিশেষ রোগ অনুযায়ী ব্যবহার পদ্ধতি
রোগের নামঃ শুক্রতারল্য, শারীরিক দুর্বলতা ও যৌন দুর্বলতায়
শিমুল ব্যবহার্য অংশঃ মূল চূর্ণ
মাত্রাঃ ৭-১২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সমপরিমান চিনিসহ প্রত্যহ ১-২ বার সেব্য।
রোগের নামঃ প্রদর ও মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাবে
শিমুল ব্যবহার্য অংশঃ শুষ্ক কষচূর্ণ
মাত্রাঃ ১-২ গ্রাম
ব্যবহার পদ্ধতিঃ সমপরিমান চিনিসহ প্রত্যহ ১-২ বার দুধসহ সেব্য।
সেবনের ক্ষেত্রে থাকতে হবে সতর্ক
শিমুল চূর্ণ সেবনের সময় সতর্ক থাকা ভালো। ঈষৎ উষ্ণ প্রকৃতির লোকদের ক্ষেত্রে চিনি ও শতমূলী সহযোগে সেবন করা উত্তম।
এস/ এসকে/
খবরটি শেয়ার করুন