ছবি : সংগৃহীত
অনেকেই শীতকালে অ্যালার্জিজনিত সমস্যায় ভুগেন। আর অ্যালার্জি বাড়লেই শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হতে পারে। এছাড়া শীতে ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হওয়ার কারণে বাড়তে পারে চর্মরোগ। বিভিন্ন কারণে চর্মরোগ হতে পারে। অনেকেই প্রথমদিকে এসব রোগকে উপেক্ষা করেন। যা হতে পারে মারাত্মক বিপদের কারণ।
তেমনই এক চর্মরোগ হলো ‘সোরিয়াসিস’। ক্রনিক এই রোগ একবারে সারে না। সামান্য অনিয়মে এ ব্যাধি ঘুরে ফিরে আসে। যে কোনো বয়সী মানুষের শরীরে চর্মরোগটি হতে পারে। এ রোগ হলে ত্বকে লাল রঙা এক স্তর তৈরি হয়। ছোট ছোট ফুসকুড়িতে ভরে যায় ত্বকের বিভিন্ন স্থান। ফুসকুড়িতে চুলকানি ও ব্যথার পাশাপাশি ফোলা হতে পারে।
সাধারণত কনুইয়ের বাইরের অংশে এবং হাঁটুতে বেশি দেখা যায় সোরিয়াসিস। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়লে এ রোগ দেখা দেয়। সোরিয়াসিসের উপসর্গ হিসেবে শুরুতে বুকে পিঠে হাতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে লালচে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
পরবর্তী সময়ে ত্বকের ওই অংশগুলো পুরু হয়ে আঁশ ওঠার মতো ত্বকের খোসা উঠতে শুরু করে। শুরুতে চিকিৎসা না করলে শরীরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। যদিও এ রোগের জন্য তেমন কোনো বিশেষ চিকিৎসা নেই। তবে নিয়মের মধ্যে থাকলে এর লক্ষণগুলো কম প্রকাশ পায়।
আরো পড়ুন : মন ভালো থাকলেই কমবে ওজন!
সোরিয়াসিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ঘরোয়া উপায় কী?
১. ন্যাশনাল সোরিয়াসিস ফাউন্ডেশনের মতে, ফিশ অয়েল, ভিটামিন ডি, দুধ, অ্যালোভেরা, আঙুরের মতো ডায়েটিক পরিপূরক সোরিয়াসিসকে মূল থেকে নির্মূল করতে পারে।
২. সোরিয়াসিস থেকে বাঁচতে ত্বক অবশ্যই আর্দ্র রাখতে হবে। এজন্য বাড়ি বা অফিসে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
৩. সুগন্ধযুক্ত সাবান ও সুগন্ধী ব্যবহার করবেন না। এসবে উপস্থিত রাসায়নিক ও রং ত্বকে প্রভাব ফেলতে পারে। যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তারা এ জাতীয় সাবান এড়িয়ে চলুন।
৪. গরম পানি ত্বক চুলকানির কারণ হতে পারে। তাই রক সল্ট, দুধ বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে হালকা গরম ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে সোরিয়াসিসে চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।
৫. যে কোনো চর্মরোগের দাওয়াই হিসেবে হলুদ কার্যকরী। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য তকের প্রদাহ দূর করে।
৬. ধূমপানে আসক্ত থাকলে দ্রুত তা ত্যাগ করা উচিত। ধূমপান ও তামাক সেবন থেকে সোরিয়াসিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন