প্রতীকী ছবি
ঘুম পাচ্ছে? এর উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে খুব সহজ কিছু সমাধান আছে। যেমন একটু হেঁটে আসুন, একটু চা পান করুন কিংবা কিছুটা কফি পান করতে পারেন। আমাদের কাছে চা বা কফি ঘুম তাড়ানোর ক্ষেত্রে তান্ত্রিকের মতো কাজ করে। যাদের চা পছন্দ নয়, তারা বেছে নেন কফি। আমরা জানি, কফির আবার বিভিন্ন গুণও আছে। কিন্তু অন্য যে কোনো খাবার কিংবা পানীয়র মতো কফি পান করারও কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। যেগুলোর প্রভাব সরাসরি স্বাস্থ্যের ওপরে পড়ে।
কফি পানের সময় সাধারণ যেসব ভুল হয়, সেগুলোর মধ্যে একটি হলো সারাদিন পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া এবং অতিরিক্ত গরম অবস্থায় কফি পান করা। আপনি একজন কফিপ্রেমী হয়ে থাকলে এ অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘হেলথ শর্টস’-এর তথ্য অনুযায়ী, কফি অনেকের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ। কিন্তু কিছু সাধারণ ভুল স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কফি পান করার সঠিক পদ্ধতি জানা এবং অনুসরণ করা জরুরি। তাতে একদিকে যেমন কফির উপকারিতা পাওয়া যাবে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা কমবে।
কফি পানের ক্ষেত্রে এটি প্রথম ভুল হলো অতিরিক্ত পান করা। বিশেষজ্ঞরা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান না করার পরামর্শ দেন। অতিরিক্ত কফি পান অনিদ্রা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কফি ডাইইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক। ফলে কফি পানের পর শরীর থেকে পানি বের হয়ে যেতে পারে এবং তা পানিশূন্যতার কারণও হতে পারে। কফি পানের পাশাপাশি সারাদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এতে মাথাব্যথা ও ক্লান্তি দূর হবে।
কফি বিনের গুণমান কফির স্বাদ ও উপকারিতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। পুরোনো বা নিম্নমানের কফি বিন ব্যবহারে কফির স্বাদ খারাপ হয়। এতে স্বাস্থ্য উপকারিতাও কমার আশঙ্কা থাকে। তাই ভালো মানের ও টাটকা কফি পানের চেষ্টা করুন।
হুইপড ক্রিম ব্যবহারে কফি স্বাদে মজাদার হলেও এতে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি যুক্ত হয়। এ ক্যালরি ওজন ও কোলেস্টেরল বৃদ্ধি এবং হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়াতে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে হুইপড ক্রিম ছাড়াই কফি পান করা ভালো।
অনেকে মনে করেন, চিনি বা মিষ্টিজাতীয় কিছু দ্রব্য ব্যবহার করলে কফির তিতা ভাব কেটে যায় এবং তা খেতে ভালো লাগে। কিন্তু কফিতে বেশি চিনি দিলে তা শরীরে চর্বি জমাতে পারে। এর ফলে ফ্যাটি লিভার, ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে। চিনি রক্তচাপ ও প্রদাহ বাড়ায়, যা হৃদ্রোগের অন্যতম কারণ। তাই কফিতে চিনি কমিয়ে দিন অথবা স্বাস্থ্যকর বিকল্প ব্যবহার করুন।
অনেকে গরম কফি বেশি ভালোবাসেন। কিন্তু কফি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত গরম কফি পান করলে তা গলার ক্ষতি করতে পারে এবং দীর্ঘ মেয়াদে এটি গলার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই কফি খানিকটা ঠান্ডা হয়ে গেলে তবেই পান করুন।
কফি দিনের বেলায় সতেজ হতে সাহায্য করলেও রাতে ঘুমানোর আগে তা পান করা ঠিক নয়। এতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে, মাথাব্যথা, উদ্বেগ ও মেজাজ খারাপ হতে পারে। ঘুমানোর অন্তত ছয় ঘণ্টা আগে শেষ কফি পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন