সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

রোজানির্ভর পণ্যের বিপুল আমদানি

বিশেষ প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

আগামী মার্চ মাস থেকে শুরু হচ্ছে রোজা। এ উপলক্ষে বাড়ছে নিত্যপণ্যের আমদানি। রোজানির্ভর খাদ্যপণ্যের এই তালিকায় রয়েছে চাল, গম, চিনি, ডাল, ছোলা, ভোজ্যতেল ও খেজুরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

শুক্রবার (৩১শে জানুয়ারি) শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসে বিপুল পরিমাণ নিত্যপণ্য আমদানি হয়েছে, যা অনেক ক্ষেত্রে পুরো রোজার মাসের চাহিদার সমান। কিছু ক্ষেত্রে আমদানি পবিত্র রমজান মাসের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে।

আমদানিকারকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে আরও নিত্যপণ্য আমদানি হবে। ফলে সরবরাহ বাড়বে। পুরনো ও নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নিত্যপণ্য আমদানিতে যুক্ত হয়েছে।

আমদানি বাড়ানো ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু ও খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক ছাড় দেয়। পাশাপাশি ঋণপত্র খুলতে এখন মার্কিন ডলারের সংকটও অনেকটা কেটেছে। সব মিলিয়ে আমদানিতে উৎসাহ বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে টি কে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জানুয়ারিতে আমদানি বেড়েছে। পাইপলাইনে (আমদানি পর্যায়ে) থাকা পণ্য ফেব্রুয়ারি মাসে আসবে, অর্থাৎ বাজারে সরবরাহে ঘাটতি হওয়ার সুযোগ নেই।’

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে রোজায় বাজারে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে প্রায় তিন লাখ টন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও চট্টগ্রাম কাস্টমসের তথ্যে দেখা যায়, গতকাল শেষ হওয়া জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৯ দিনে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি হয়েছে প্রায় চার লাখ টন। 

সয়াবিন তেল তৈরির কাঁচামাল সয়াবিনবীজ আমদানি হয়েছে তিন লাখ টন। এই বীজ মাড়াই করে পাওয়া যাবে প্রায় অর্ধলাখ টন সয়াবিন তেল, অর্থাৎ রোজার চাহিদার চেয়ে বাজারে সরবরাহ বেশি থাকবে।

রোজায় চিনির চাহিদাও তিন লাখ টনের মতো। বিগত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ অপরিশোধিত চিনি আমদানি হয়েছে জানুয়ারি মাসে, ১ লাখ ৫৩ হাজার টন। বন্দরে এসে ভিড়েছে আরও প্রায় এক লাখ টন চিনিসহ জাহাজ। ফেব্রুয়ারি মাসেও চিনি আমদানি হবে।

রোজায় এক লাখ টনের মতো ছোলার চাহিদা রয়েছে। জানুয়ারিতে ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৩ হাজার টন। ডিসেম্বরে এসেছিল আরও ১৫ হাজার টন। এক লাখ টন চাহিদার বিপরীতে জানুয়ারিতে মসুর ডাল এসেছে ৬২ হাজার টন। ফেব্রুয়ারিতেও ছোলার আমদানি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যারিফ কমিশনের হিসাবে, রোজায় খেজুরের চাহিদা ৬০ হাজার টন। জানুয়ারিতে এসেছে ২২ হাজার টন। বড় চালান আসবে ফেব্রুয়ারিতে।

রোজার নিত্যপণ্যের প্রায় ৮৮ শতাংশ আসছে মূলত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। বন্দরে গতকাল ৩২টি জাহাজ ছিল। এসব জাহাজে এসেছে ১২ লাখ ৬৭ হাজার টন পণ্য। এসব পণ্যের বড় অংশই খালাস হয়েছে, বাকিটা খালাস হচ্ছে। এর আগে পণ্য খালাস করে কিছু জাহাজ চলেও গেছে।

হা.শা./কেবি


রমজান মাস

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন