ছবি : সংগৃহীত
এক টাকাও পরিশোধ না করে চট্টগ্রামের একটি ডকইয়ার্ড থেকে ৭৪ কোটি টাকা মূল্যের দুটি জাহাজ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী নুরেন ফাতিমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি করেন ক্ষতিগ্রস্ত এফএমসি গ্রুপের হেড ক্লার্ক ফিরোজ আহমদ।
মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার এসআই কামরুজ্জামান খান বলেন, তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হাছান মাহমুদের ছোট ভাই খালেদ মাহমুদ ও এরশাদ মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এমরুল করিম রাশেদ, তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ নুর উদ্দীন ও প্রতিষ্ঠানটির হিসাব বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ এরাদুল হক।
আরো পড়ুন : বস্ত্র উপদেষ্টার কাছে ৪ দাবি টেক্সটাইল শিক্ষার্থীদের
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে এফএমসি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড রয়েছে। ওই ডকইয়ার্ড থেকে নির্মাণ বিল পরিশোধ না করেই ক্ষমতার জোরে একটি ফিশিং জাহাজ এবং একটি কনটেইনার জাহাজ নিয়ে নেন তৎকালীন মন্ত্রীর লোকজন। কনটেইনার জাহাজটি ছাড় দিতে সম্মত না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারীদেরও মারধর, অফিস ভাঙচুর ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানকে অস্ত্র ঠেকিয়ে স্ট্যাম্প ও প্যাডে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। তারপর তাদের হয়রানি করা হয়। ঘটনাটি প্রায় সাড়ে তিন বছর আগের।
জানা যায়, একটি কনটেইনার ও একটি ফিশিং জাহাজ নির্মাণের জন্য হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন দ্য বিসমিল্লাহ মেরিন সার্ভিসেসের সঙ্গে এফএমসি ডকইয়ার্ডের চুক্তি হয়। হাছান মাহমুদ ও তার স্ত্রী কোনো টাকা না দিয়েই ২৪ কোটি টাকা দামের ফিশিং জাহাজ ডেলিভারি নিয়ে যান। ৫০ কোটি টাকা দামের কনটেইনার জাহাজটিও কোনো টাকা না দিয়েই ডেলিভারি দিতে চাপ দিতে থাকেন। তা নিয়ে এফএমসি গ্রুপের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তাদের মতবিরোধ তৈরি হয়। পরে টাকা পরিশোধ না করেই ডকইয়ার্ডে জোরপূর্বক ঢুকে জাহাজটি নিয়ে যান।
এস/ আই.কে.জে/