ফাইল ছবি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ ফুটে ওঠা নিয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বিশদ ও তথ্যভিত্তিক একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প এর প্রতিক্রিয়ায় ওই প্রতিবেদনের সহলেখক নারী সাংবাদিককে ‘কুৎসিত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প গতকাল বুধবার (২৬শে নভেম্বর) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্ট এ মন্তব্য করেন। এর ঠিক দুই সপ্তাহের কম সময় আগে তিনি আরেক নারী সাংবাদিককে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেছিলেন, ‘চুপ কর, শূকরছানা।’ খবর সিএনএনের।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সঙ্গে তুলনা করে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ট্রাম্পকে জনসমক্ষে আগের তুলনায় কম দেখা যায়। তার কর্মসূচি সীমিত হয়ে এসেছে। তিনি দেশের ভেতরে আগের চেয়ে অনেক কম সফর করছেন, যদিও বিদেশ সফর বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জনসমক্ষে উপস্থিত হলে কখনো কখনো তার ‘ব্যাটারির চার্জ কম’ মনে হয়। তবে মার্কিন জনজীবনে তিনি এখনো প্রায় সর্বত্র উপস্থিত। পাশাপাশি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তুলনায় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবও অনেক বেশিই দিচ্ছেন।
গতকাল ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘ব্যর্থ নিউইয়র্ক টাইমস অসভ্যতা আবার শুরু করেছে।’
ট্রাম্প ওই প্রতিবেদনের পুরুষ সহলেখক ডিলান ফ্রিডম্যানের নাম উল্লেখ না করলেও নারী প্রতিবেদক কেটি রজার্সকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেন। কেটি নিউইয়র্ক টাইমসের হোয়াইট হাউস প্রতিবেদক।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এ প্রতিবেদনের লেখক কেটি রজার্সকে শুধু আমার বিরুদ্ধে খারাপ কথা লেখার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি অত্যন্ত নিচু মানের সাংবাদিক এবং ভেতর ও বাহির—দুই দিক থেকেই কুৎসিত।’
নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে বেশ ভালো আছেন। এ–সংক্রান্ত পরীক্ষায় সম্প্রতি তিনি ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিউইয়র্ক টাইমসেরও ব্যাপক সমালোচনা করছেন। তিনি দাবি করেছেন, সংবাদমাধ্যমটি শিগগিরই বন্ধ হয়ে যাবে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক মুখপাত্র ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আক্রমণের জবাবে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদনে তথ্যভিত্তিক সত্য প্রকাশ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত অপমান বা ভীতি প্রদর্শন আমাদের সাংবাদিকদের কাজ থামাতে পারবে না। কেটি রজার্সের মতো অভিজ্ঞ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকেরাই যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে সরকার সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করেন।’
খবরটি শেয়ার করুন