ছবি: সংগৃহীত
যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইন এক সহযোগী এবং একজন লেখকের কাছে পাঠানো ইমেইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম একাধিকারবার উল্লেখ করেছেন। বুধবার (১১ই নভেম্বর) প্রকাশিত নতুন কিছু ইমেইলে এমনটি দেখা গেছে। খবর সিএনএনের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ‘ওভারসাইট কমিটির’ ডেমোক্র্যাট সদস্যেরা এসব ইমেইল প্রকাশ করেছেন। তবে এক বিবৃতিতে ইমেইলগুলোকে ‘ভুয়া বয়ান তৈরির মাধ্যমে ট্রাম্পকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
এপস্টেইন নিজের সহযোগী গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লেখক মাইকেল ওলফকে ১৫ বছর ধরে এসব ইমেইল লিখেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী এপস্টেইন ২০১৯ সালের ১০ই আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে কারাবন্দী অবস্থায় আত্মহত্যা করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ম্যাক্সওয়েল অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌনকাজে সম্পৃক্ত করার অভিযোগে বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এপস্টেইন মারা যাওয়ার পর তিনি দণ্ডিত হন।
নতুন প্রকাশিত ইমেইলগুলোতে এমন একটি বার্তা রয়েছে, যেখানে এপস্টেইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প একজন নারীর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন। ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা এই নারীকে এপস্টেইনের যৌন পাচারের শিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইমেইলগুলোতে আরেকটি বার্তা আছে, যেখানে এপস্টেইন বলেছেন, ট্রাম্প ‘ওই নারীদের সম্পর্কে জানতেন’। এখানে যেসব নারীর কথা বলা হয়েছে, তারা সম্ভবত ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে কাজ করতেন। তাদের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এপস্টেইনকে মার-আ-লাগো থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কারণ, এপস্টেইন সেখানে কর্মরত কমবয়সী নারীদের কদর্যভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন।
এপস্টেইনের ওই ইমেইলগুলোর কোনোটি ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হয়নি বা এর কোনোটি ট্রাম্প অন্য কারও কাছে পাঠাননি। এসব ইমেইলের বেশির ভাগই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগের। তা ছাড়া এপস্টেইন বা ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ট্রাম্পকে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত করা হয়নি।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন