ছবি : সংগৃহীত
এই গরমে বাড়িতে যিনি সবার জন্য রান্না করেন, তার জন্য রান্না করাটা বেশ কষ্টকর। দীর্ঘক্ষণ চুলার পাশে থেকে রান্না করলে শারীরিক দুর্বলতার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অস্থিরতাও দেখা দেয়। কিন্তু তাই বলে তো আর রান্না বন্ধ করা যাবে না। কষ্ট কিছুটা কমিয়ে এই গরমে কিভাবে আরামে রান্না করবেন চলুন জানা যাক-
১. গরমে দুপুরে রান্নাঘর এড়ানো উচিত। তাই সকালে রান্না সেরে নেওয়া ভালো। সকালে সম্ভব না হলে বিকেলের পর রান্না করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যাবে।
২. কোন বেলায় কী খাবার পরিবেশন করতে চান, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখা উচিত।
৩. প্রতিদিন কয়েক পদ রান্না এ সময়ে এড়িয়ে চলুন। কম পদ, কিন্তু পরিবারের সবার ভালো লাগবে—এমন কিছু রান্না করুন।
৪. সকালে রান্না করলে আগের দিন রাতে শাকসবজি কেটে রেডি করে রাখুন। রান্না করতে অনেক সময় বাঁচবে। মাছ বা মাংস ম্যারিনেট করে রাখার প্রয়োজন হলে সেটিও আগের রাতে করে রাখলে সময় বাঁচবে আর রান্নাও সুস্বাদু হবে।
আরো পড়ুন : জানালায় ভেজা কাপড় ঝোলালে কি আসলেই ঘর ঠান্ডা হয়?
৫. রান্নাঘরের ভেন্টিলেশনের দিকে লক্ষ রাখুন। এখন প্রায় সব বাড়িতেই কিচেন চিমনি থাকা সত্ত্বেও রান্নার সময় অন করতে ভুল হয়। এ ছাড়া বাড়ির বাকি ভেন্টিলেশনের দিকেও নজর দিন। রান্নাঘরে অবশ্যই এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার করবেন। রান্না করার সময় রান্নাঘরের জানালা খুলে রাখবেন।
৬. খাবার সেদ্ধ করার জন্য প্রেশার কুকার ব্যবহার করুন। এতে দ্রুত রান্না করা সম্ভব।
৭. গ্লুকোজে লেবু মিশিয়ে এক গ্লাস পানি খেলে রান্নার সময় ক্লান্তি আর বিরক্তিভাব কেটে সতেজ থাকবেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্যালাইন খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
৮. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরে রান্না করুন।
এছাড়া আরো কিছু পরামর্শ -
*এই গরমে রান্নায় তেল–মসলা এবং বেশি কাটাকোটার ঝামেলাবিহীন রান্না রোজকার মেন্যুতে রাখুন। প্রয়োজনীয় বাসনকোসন, মসলাপাতি আগে থেকে গুছিয়ে রাখুন।
*কষিয়ে রান্না করার পরিবর্তে হাতে মাখা রান্না করতে পারেন। ডাল, ছোট মাছ, মাংস হাতে মেখে রান্না করা যায়। ভাপে রান্না করা খাবার এ সময় করা যেতে পারে।
*রান্নার আগের প্রস্তুতি, অর্থাৎ কোটাবাছা, এগুলো ডাইনিংরুমে ফ্যানের নিচে অথবা রান্নাঘর লাগোয়া বারান্দায় করা যেতে পারে।
*বাজারে ত্বকের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক পাওয়া যায়। চুলার কাছে যাওয়ার আগে এই প্যাক লাগিয়ে নিলে ত্বকে গরম তাপ অনেকটা কম লাগে।
এস/ আই.কে.জে/