ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের দুই মহাতারকার মধ্যে সেরা বেছে নিতে দ্বিধায় পড়তে হয় আর্জেন্টাইনদের। ঠিক একই রকম দ্বিধায় পড়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। অবশ্য শেষ পর্যন্ত দুজনের মধ্যে শিষ্য মেসিকেই বেছে নিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ। খবর এএফপির।
এদিকে মেসিকে সর্বকালের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়ার সেই ব্যাখ্যাও স্প্যানিশ সাংবাদিক ও ইউটিউবার চিরো লোপেজকে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। মেরাডোনার শিষ্য মেসিকে সেরা হিসেবে বেছে নেওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখিয়েছেন স্কালোনি।
আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি বলেছেন, ‘আমি লিওর অর্থাৎ মেসির পক্ষে থাকব। সে কেমন তা আমি ভালো করেই জানি। আসলে তাদের দুজনের মধ্যে তুলনাটা অনর্থক। কেননা, মূল কথা হলো তাদের খেলা উপভোগ করতে হবে। আমি নিশ্চিত, তাদের যে কেউই সত্তরের, আশির বা নব্বইয়ের দশকে খেলতে পারত এবং এ সময়েও খেলতে পারে। কারণ, ভালো খেলোয়াড় সব সময়ই ভালো খেলোয়াড়।’
এ ছাড়া দলের প্রতি মেসির নিবেদনের বিষয়ে স্কালোনি বলেন, ‘সবাই একরকম না। আর ফুটবলের দিক থেকে তারা দুজনই প্রতিভাবান। বৈচিত্র্যময় ব্যক্তিত্বে নিজেদের মতো করে তারা দুজনই নেতা। লিও এটি অন্যভাবে দেখায়। আমি আপনাকে অনেক উদাহরণ দিতে পারি: কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২০২১ কোপা আমেরিকায় তার পেশিতে সমস্যা হচ্ছিল। সে ড্রেসিংরুমে এসে ফিজিওর কাছ থেকে মালিশ করিয়ে নেয়। পরে তিনি এমনভাবে মাঠে ফিরে যায় যেন কিছুই হয়নি।’
স্কালোনি মেসির প্রশংসায় আরও বলেন, ‘তাকে যখন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তিনি সে বিষয়টা পরিষ্কারভাবে বুঝে নেন। বিষয়টি হলো তার সঙ্গে অন্য দশজনের মতো আচরণ করা, এটা জেনেও যে তিনি ভিন্ন কেউ নন। এ ছাড়া তিনি কখনোই দল গঠনের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। তার এমন খেলোয়াড়দের প্রয়োজন যারা তার মতোই ভালো খেলে।’
তবে কোচ স্কালোনি ম্যারাডোনার নিওয়েলস ক্লাবে আগমনের মুহূর্ত স্মরণ করে বলেন, ‘১৯৯৩ সালের দিকে ম্যারাডোনাকে স্বাগত জানাতে যুব দলের সবাই মিলে বিখ্যাত সেই পতাকা উন্মোচনের অনুষ্ঠান করেছিল। একটি ছবি আছে, যেখানে আমি তার পাশে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের জন্য, তাকে অনুশীলন করতে দেখতে যাওয়াটাই ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। যখনই তিনি অনুশীলন শুরু করতেন, বেলা ভিস্তার পুরো মাঠ যেন থেমে যেত। সবাই চলে যেত তাকে দেখতে। তিনি শুধু নিওয়েলস নয়, সবার মনে এক অমোচনীয় ছাপ রেখে গেছেন।’
আরএইচ