ছবি: সংগৃহীত
নিজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘বর্তমানে আমি অনেকটা সুস্থ আছি’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের শেষ দিকে কিছু জটিলতা তৈরি হয় সাবিনা ইয়াসমিনের শরীরে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায়, শিল্পীর মুখ-গহ্বরে আবার ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। অবস্থার অবনতি হলে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুর। ভর্তি করা হয় দেশটির জেনারেল হাসপাতালের ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টারে। জানা গেছে, এরইমধ্যে সাবিনার মুখে একটি সার্জারি হয়েছে। দ্রুত শুরু হবে থেরাপি। পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে শিল্পীর জন্য।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এই শিল্পী প্রথম ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তখন দেশ-বিদেশ মিলিয়ে সবার উদ্যোগে সঠিক চিকিত্সার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন সাবিনা ইয়াসমিন। এরপর থেকে নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে ভালোই ছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন: এবার সিয়ামের সঙ্গে ইধিকা পাল
পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গান গাইছেন সাবিনা ইয়াসমিন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়াও শিল্পকলার সংগীত শাখায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে। এ শিল্পীর উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে—সব সখীরে পার করিতে, এই পৃথিবীর পরে, মন যদি ভেঙে যায়, ও আমার রসিয়া বন্ধুরে, জীবন মানেই যন্ত্রণা, জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো, সব ক’টা জানালা খুলে দাও না, ও আমার বাংলা মা, মাঝি নাও ছাড়িয়া দে, সুন্দর সুবর্ণ, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার প্রভৃতি। সাবিনা ইয়াসমিন শেষ প্লেব্যাক করেছেন কবরী পরিচালিত ‘এই তুমি সেই তুমি’ ছবিতে।
এসি/