ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮০৯ কোটি। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় জনজরিপ সংস্থা ইউএস সেন্সাস ব্যুরো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বুধবার দেওয়া সেই বিবৃতিতে ব্যুরোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বিদায়ী ২০২৪ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৭ জন। সেই হিসেবে ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি বিশ্বের মোট জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৮০৯ কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৫১১ জন। শতকরা হিসেবে ২০২৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা বেড়েছে দশমিক ৮৯ শতাংশ।”
বিগত ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে জন্মহার ছিল কম। ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বে জন্মেছিল ৭ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি শিশু।
বর্তমানে জন্মহার এবং মৃত্যুহারের যে চিত্র, তাতে ২০২৫ সালের প্রতি সেকেন্ড গড়ে ৪ দশমিক ২ জন শিশু জন্ম নেবে এবং ২ জনের মৃত্যু ঘটবে বলে ধারণা করছে ইউএস সেন্সাস ব্যুরো। বিবৃতিতে সে তথ্য উল্লেখও করা হয়েছে।
তবে এই গড় হিসেবে তারতম্যও হতে পারে। কারণ জনসংখ্যা বিষয়ক বিভিন্ন বৈশ্বিক জরিপ বলছে বছরের ১২ মাসের প্রতিটিতে বৈশ্বিক জন্মহার ও মৃত্যুহারের চিত্র বদলে যায়। এই ব্যাপারটিকে হিসেবে ধরা হলে প্রতি মাসের জন্ম ও মৃত্যুহারের রেকর্ড রাখা জরুরি।
ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর ধারণা, ২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বে প্রতি ৯ সেকেন্ডে একজন করে শিশু ভূমিষ্ঠ হবে এবং ৯ দশমিক ৪ সেকেন্ডে মৃত্যু ঘটবে একজন মানুষের।
আরও পড়ুন: ভারতের ‘দরিদ্রতম’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই স্থানটি ছিল চীনের দখলে, কিন্তু ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ১৪০ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ২৯৬ জন মানুষকে নিয়ে চীনকে হটিয়ে শীর্ষে আসে ভারত। সে সময় চীনের জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি ৭৯ লাখ ২৯ হাজার ৯২৯ জন।
২০২৫ সালেও জনসংখ্যার এই তালিকায় ভারত এবং চীন নিজ নিজ অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে মনে করছে মার্কিন জনজরিপ সংস্থা।
সূত্র : এনডিটিভি ওয়ার্ল্ড
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন