ছবি: সংগৃহীত
এশিয়া কাপ হকির স্থান নির্ধারণী প্লে-অফে কাজাখস্তানকে ৫-১ গোলে হারিয়ে ২০২৬ হকি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান শেষ মুহূর্তে সরে না দাঁড়ালে এশিয়া কাপে সুযোগ পেত না বাংলাদেশ। তড়িঘড়ি করে ভারতে যাওয়া সেই দলটিই এখন বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। এশিয়া কাপে শীর্ষ ছয়ে থাকা নিশ্চিত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ হকি দল।
জিতলেই জায়গা পাওয়া যাবে বিশ্বকাপ হকির বাছাইপর্বে, এমন সমীকরণের ম্যাচে কাজাখস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের রাজগিরে বিহার স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি হকি স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (৪ঠা সেপ্টেম্বর) স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মধ্য এশিয়ার দেশটিকে ৫-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তাতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন যেমন বেচেছে, তেমনি এশিয়া কাপে পঞ্চম হওয়ার সুযোগও পেয়ে গেল বাংলাদেশ। শনিবার পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জাপানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে আশরাফুল ইসলাম ও রোমান সরকার ২টি করে গোল করেছেন। অপর গোলটি তৈয়ব আলীর।
প্রথম কোয়ার্টারে বাংলাদেশ নিয়মিত আক্রমণ করলেও কাজাখরা প্রথম ৯ মিনিটে অক্ষত রাখে তাদের গোল পোস্ট। ১০ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে বাংলাদেশকে প্রথম গোলটি এনে দেন আশরাফুল। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশ পেয়ে যায় আরও ২ গোল। ২৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল আদায় করে নেন আশরাফুল। আর ২৮ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন রোমান সরকার।
তৃতীয় কোয়ার্টারের ম্যাচের ৩৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধানটাকে ৪-০ করেন রোমান। ১ মিনিট যেতে না যেতেই ব্যবধানটা ৫-০ করেন তৈয়ব আলী। এর ৩ মিনিট পর কাজাখস্তান ১টি গোল শোধ করে। ৩৪ মিনিটে ৫-০ গোলে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ ২৬ মিনিটে আর গোল করতে পারেনি।
এর আগে গতকালই চায়নিজ তাইপেকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলা নিশ্চিত করে পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জাপান।
২০২৬ সালের আগস্টে নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামে হবে হকি বিশ্বকাপ। ১৬ দলের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি জায়গা পেয়েছে বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডস। এ ছাড়া প্রো লিগের সর্বশেষ দুই টুর্নামেন্টের ফলের ভিত্তিতে সুযোগ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও স্পেন। অস্ট্রেলিয়া ২০২৩-২৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন।
২০২৪-২৫ মৌসুমে তৃতীয় হয়েও স্পেন সুযোগ পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম স্বাগতিক হিসেবে আগেই সুযোগ পেয়ে যাওয়ায়।
এ ছাড়া মহাদেশীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছেন প্যান আমেরিকা অঞ্চলের আর্জেন্টিনা, ইউরোপের জার্মানি ও ওশেনিয়ার নিউজিল্যান্ড। এশিয়া ও আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরাও সরাসরি চলে যাবে বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের অন্য ৭টি দেশ বেছে নেওয়া হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের বাছাইপর্ব থেকে।
১৬ দলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আয়োজক দেশের নাম চূড়ান্ত হয়নি। যেখানে চলমান এশিয়া কাপের শীর্ষ দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠ, এই ৫ দল ছাড়াও খেলবে প্যান আমেরিকা কাপের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ হওয়া আমেরিকা, কানাডা ও চিলি। ইউরোপের সাত দল আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। এ ছাড়া আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় হকি আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের রানার্সআপ দল।
বাছাইয়ে ১৬টি দলকে নিয়ে হবে দুটি ভিন্ন টুর্নামেন্ট। প্রতি টুর্নামেন্টে ৮টি দল দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দুই টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্ট ও তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচের দুই বিজয়ীসহ মোট ৬ দল পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। দুই টুর্নামেন্টের চতুর্থ হওয়া দুই দলের মধ্যে যারা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকবে, তারা সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে।
খবরটি শেয়ার করুন