ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ববাজারে সোনার দাম আউন্সপ্রতি চার হাজার ডলার ওঠার পর কমতে শুরু করেছে। গত এক মাসে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ৯৯ ডলার ৬২ সেন্ট কমেছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমা দুনিয়ার শেষ কার্যদিবস, অর্থাৎ গত শুক্রবার (১৪ই নভেম্বর) সোনার দাম কমেছে ১০৯ ডলার ৭৩ সেন্ট।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ও পুরো মাসে সোনার দাম কমলেও গত সপ্তাহে আউন্সপ্রতি দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের মতো ধাতুর দামও গত সপ্তাহে বেড়েছে। খবর রয়টার্স ও গোল্ড প্রাইস ডট অর্গ।
এদিকে আগামী ডিসেম্বর মাসের জন্য গোল্ড ফাউচার্স বা সোনার আগাম দাম নির্ধারিত হয়েছে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৯৪ ডলার। দেখা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও দাম কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে দেশটির বাজারে আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, মানুষ পড়েছে চাপে। এ পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু পণ্যের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দিয়েছেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত ডিসেম্বর মাসে আর নীতি সুদহার কমাবে না। মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হাই রিজ ফিউচার্সের ধাতু ব্যবসার পরিচালক ডেভিড মেগার বলেন, ফেড নীতি সুদহার কমাবে না—সেই সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ায় সোনা ও রুপার দৌড় আপাতত থেমে গেছে। এ ছাড়া ফেড কঠোর নীতিগত অবস্থান নিচ্ছে—এ ইঙ্গিতের আসার পর মার্কিন শেয়ারবাজারেও ধস নেমেছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম শাটডাউন (সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকা) হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার সেই শাটডাউন শেষ হয়েছে। কিন্তু সরকারের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তথ্য–উপাত্তের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে ফেড ও বিনিয়োগকারীরা আগামী মাসের নীতিনির্ধারণী বৈঠকের আগে কার্যত তথ্যের ঘাটতিতে আছেন।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন