ছবি: সংগৃহীত
প্রথমেই জানানো যাক, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিয়ে করার সঠিক বয়স নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে সম্প্রতি। এ গবেষণা মূলত পুরুষদের ওপর করা হয়েছে। এবার আসা যাক, গবেষণাটা ঠিক কী রকম এবং এর থেকে কী তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রায় দুই হাজার পুরুষের ওপর করা হয়েছিল এ গবেষণা। যেখানে মূলত, অংশ নিয়েছিলেন বিবাহিত ও অবিবাহিত পুরুষরা। বয়সসীমা ছিল ২৫ থেকে ৩৫। এ গবেষণার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বিয়ের পর কতটা সুখে আছেন পুরুষরা এবং কোন বয়সে বিয়ে করে বেশি সুখে আছেন। সুখ বলতে মূলত, সঠিক জীবনযাপনের কথা বলা হয়েছে।
অনেকে মনে করেন, ছেলেরা যদি একটু দেরিতে বিয়ে করেন, তাহলে সংসার সুন্দর করে গুছিয়ে তুলতে পারেন। আর এ ক্ষেত্রে স্বামীর থেকে যদি স্ত্রীয়ের বয়স কম হয়, তাহলে নাকি সুখী হয় দাম্পত্য। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
তবে গবেষণা অন্যরকম কথা বলছে। মেয়েদের মতো ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে করলে সুখে থাকার সম্ভাবনা বেশি। এর নেপথ্যের কারণ জানিয়েছেন গবেষকরা। তাদের বক্তব্য, বয়স যত কম থাকবে, মনের মতো সঙ্গী পাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।
এ ক্ষেত্রে গবেষকরা বলছেন, ২৫-এর মধ্যে বিয়ে করা গেলে সবচেয়ে বেশি থাকে মানানসই সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ। আর পছন্দসই সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ে করলে এমনিতেই সুখের হয় দাম্পত্য জীবন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প বয়সে বিয়ে করলে যৌন জীবনও সুন্দর হয়। আর সুস্থ যৌনজীবন মেনে চললে শরীর ও মন ভালো থাকে।
অল্প বয়সে বিয়ে করলে, দ্রুত সন্তান নেওয়ার চাপও থাকে না। ফলে একটু বেশি সময় ধরে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে স্বাধীনভাবে দিনযাপন করা যায়। মূলত এ সবই উঠে এসেছে ওই গবেষণায়।
গবেষকরা বলছেন, এ গবেষণায় অংশ নিয়ে অনেক পুরুষ বিয়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। অনেকের মতে, বিয়ে মানে টেনশন। টেনশনের ফলে এমনিতেই জীবন জেরবার হয়ে যায়। বিশেষ করে, একদিকে কর্মস্থলের টেনশন ও আরেকদিকে সংসারের টেনশন মিলিয়ে মানসিক চাপ বাড়ে। যা কী না শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়।
এইচ.এস/