ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোকে একটি হট মাইকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করতে শোনা গেছে, তিনি এরিক ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন কি না। গাজায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিসরে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ধারণা করা হচ্ছে, সুবিয়ান্তো হয়তো জানতেন না একটি লাইভ মাইক্রোফোন তার কথোপকথন রেকর্ড করছে। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলছিলেন এবং এমন এক অঞ্চলের উল্লেখ করেন, যা ‘নিরাপত্তার দিক থেকে সুরক্ষিত নয়’। এরপর তিনি ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আমি কি এরিকের সঙ্গে দেখা করতে পারি?’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এরিককে ফোন করতে বলব। এটা কি আমার করা উচিত? ও খুব ভালো ছেলে। আমি এরিককে ফোন করতে বলব।’
এক প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এরিক ট্রাম্প এবং তার ভাই ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র দুজনেই ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত। সুবিয়ান্তো এরপর ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমরা একটি ভালো জায়গা খুঁজব।’
ট্রাম্প আবার বলেন, ‘আমি এরিককে আপনাকে ফোন করতে বলব।’ সুবিয়ান্তো বলেন, ‘এরিক বা ডন জুনিয়র (ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র)।’ অডিওতে এটি স্পষ্ট ছিল না, তারা ট্রাম্প অর্গানাইজেশন বা প্রেসিডেন্ট বা তার পরিবারের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যবসায়িক চুক্তির কথা বলছিলেন কি না।
তবে স্থানীয় এক সংস্থার সহযোগিতায় ট্রাম্প অর্গানাইজেশন গত মার্চে ট্রাম্পের নামে তাদের প্রথম গলফ ক্লাবটি ইন্দোনেশিয়ায় চালু করে।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক স্বার্থের বিষয়ে নতুন করে তদন্তের মুখে পড়েন। তার ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্যের মাধ্যমে সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি প্রেসিডেন্ট পদকে আর্থিকভাবে ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বছরের শুরুতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগে ট্রাম্প তার ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব ছেলে এরিক এবং ডন জুনিয়রের হাতে তুলে দেন।
ট্রাম্পের সংস্থা বলছে, দৈনন্দিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা নেই। এই ব্যবস্থা মোটামুটিভাবে তার প্রথম মেয়াদের মতোই। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এই ব্যবস্থা তার সরকারি দায়িত্ব এবং ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মধ্যকার সংঘাত প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন