সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বিলের মধ্যে নিয়ে ক্রসফায়ার দেয়া হবে’, হুমকি ওসির

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:২১ অপরাহ্ন, ১৬ই মে ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজির অভিযোগে যশোরের কেশবপুর থানার ওসি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ তিনজনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। ওসির কক্ষে আটকে রেখে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

বুধবার (১৫ই মে) কেশবপুর উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এই মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির উদ্দিন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ।

আরো পড়ুন: গরমে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা, কিশোরগঞ্জে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা 

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক গণমাধ্যমকে জানান, তার মক্কেল জাহাঙ্গীর আলম একজন ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১শে জানুয়ারি মধ্যকুল মৌজায় ২১৪ জন মালিকের কাছ থেকে ৪৫০ বিঘা জমি এক কোটি আশি লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নেন। সেখানে মাছ চাষ করে আসছেন। ওই জমির গা ঘেঁষে মফিজুর রহমান মফিজ একশ’কৃষকের কাছ থেকে তাদের জমি লিজ ঘের করার জন্য চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান আসাদ বাদী জাহাঙ্গীর আলমকে লিজ নেওয়া জমি হস্তান্তরের জন্য হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। এই বিষয়ে কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলে থানা তা গ্রহণ করেনি। 

সবশেষ গত পহেলা মে পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে ধরে ওসির রুমে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তিন অভিযুক্ত উপস্থিত রয়েছেন। এসময় ওসি জহির উদ্দিন বাদীকে তার জমি মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। ১৫ দিনের মধ্যে মফিজ ও আসাদকে জমি হস্তান্তর করতে হবে তা না হলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় বিলের মধ্যে নিয়ে ক্রসফায়ার করা হবে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এই বিষয়ে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

কেশবপুর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘মামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই ঘটনার সময় আমি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ওসির রুমে চাঁদা দাবি করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। যেহেতু আমি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে ফাঁসাচ্ছে। 

এইচআ/ 

ওসি ক্রসফায়ার

খবরটি শেয়ার করুন