ছবি : সংগৃহীত
সকাল বেলা হালকা খাবার দিয়ে দিন শুরু করলে হজম এবং পুষ্টি শোষণে সহায়ক হয়। এছাড়া খালি পেটে ভুল খাবার খাওয়ার ফলে অস্বস্তি, পেটফাঁপা বা এমনকি দীর্ঘমেয়াদী হজমের সমস্যা হতে পারে। সকালে বা খালি পেটে কিছু খাবার আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। সেসব খাবার সম্পর্কে জানা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. সাইট্রাস ফল
কমলা, লেবু এবং আঙ্গুরের মতো সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হলেও খালি পেটে এসব ফল খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এই ফলের উচ্চ অম্লতা পেটের আস্তরণে জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রবণ লোকদের ক্ষেত্রে।
জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, উচ্চ-অম্লযুক্ত খাবার গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডের নিঃসরণ বাড়াতে পারে, যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সকে আরও খারাপ করে তোলে। যাদের আগে থেকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের জন্য খালি পেটে অ্যাসিডিক ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।
আরো পড়ুন : আপনাকে শান্ত রাখবে যে খাবারগুলো
২. মসলাদার খাবার
যদিও গরম এবং মসশলাদার খাবারের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, তবে খালি পেটে খেলে এগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মসলাদার খাবার পেটে ব্যথা, জ্বালা এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স বাড়িয়ে তুলতে পারে। PubMed-এর একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে যে ক্যাপসাইসিন নামক যৌগের কারণে গ্যাস্ট্রিক খালি হতে দেরি করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাদ্য এবং তরল পাকস্থলী থেকে বেরিয়ে যায় এবং হজম ও পুষ্টি শোষণের জন্য ডুডেনামে প্রবেশ করে।
গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, যদিও ক্যাপসাইসিন অম্বল বা বদহজমকে দীর্ঘস্থায়ী করে না বা সম্পূর্ণরূপে দায়ী নয়, তবে এটি খাওয়ার পরে বেশ অস্বস্তি তৈরি করে। তাই আপনার দিন শুরু করুন মসৃণ, প্রশান্তিদায়ক খাবার যেমন ওটমিল বা সাইট্রাসবিহীন ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি দিয়ে।
৩. চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়
পেস্ট্রি, ফলের রস এবং এমনকি চিনিযুক্ত সিরিয়ালসহ মিষ্টি খাবার খালি পেটে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। শর্করার শোষণের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য অন্য কোনো খাবার ছাড়াই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে, এরপর আবার দ্রুত নেমে যেতে পারে। যার ফলে আপনি ক্লান্ত এবং খিটখিটে বোধ করতে পারেন।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার ইনসুলিনের দ্রুত নিঃসরণ ঘটাতে পারে, যা প্রাথমিক শক্তির স্পাইককে বাড়িয়ে দেয় এবং তারপরে ক্র্যাশ হয়। এই চক্র সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইনসুলিন প্রতিরোধের জন্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সম্ভাব্যভাবে আপনার ওজন এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
এস/ আই.কে.জে