ছবি: সংগৃহীত
মনের সঙ্গে শরীর। এ দুইয়ের ঠিক মিলমিশই বিশ্বের যে কোনো সুস্থ ও স্বাভাবিক বিবাহিত সম্পর্কের বুনিয়াদ বলে মনে করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ যৌনতা শুধু সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে এমনই নয়, মানসিক অবসাদ দূর করা, জীবনীশক্তি বাড়ানো ইত্যাদি নানা ইতিবাচক দিক রয়েছে এর।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যৌন জীবনে নিরাসক্তি ও বিছানায় অনীহা বিশ্বের প্রায় সব দেশের দম্পতিদের মধ্যে কম-বেশি দেখা দিচ্ছে। এর মূলে রয়েছে স্মার্টফোন! খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
মূল সমীক্ষাটি আমেরিকাকে কেন্দ্র করে হলেও এ সমীক্ষার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ভারত ও বাংলাদেশের মনস্তত্ত্ববিদরা। সম্প্রতি আমেরিকার তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার গবেষণায় উঠে এল এমনই চমকপ্রদ তথ্য! লিভ ইন হোক বা বিবাহিত সম্পর্ক—সব ক্ষেত্রেই যৌন জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বেডরুমেও স্মার্টফোনের হাতছানি।
সোশ্যাল মিডিয়ার এ মোহপাশ কেটে সঙ্গীর দিকে মন দেওয়ার সময় থাকছে না অনেকের! এমনকি সদ্য বিবাহিতরাও বাদ নন এ তালিকা থেকে। ফলে ‘কোয়ালিটি টাইম’-এর হাহাকার বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে নানা সামাজিক ও সাংসারিক জটিলতা।
আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রায় ২ হাজার দম্পতির উপর সমীক্ষা চালালে দেখা যায়, তাদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ একান্ত নিজস্ব সময়ও রতিক্রীড়ার চেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন মোবাইল ফোনে। শুধু তা-ই নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষ অধিকাংশের দাবি, ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাদের প্রেমিক বা জীবনসঙ্গীর মুখ নয়, মোবাইল দেখে চোখ বোজেন তারা।
এমনকি তাদের কারো কারো একই বাড়িতে থেকেও পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠছে সাধের স্মার্টফোনটি। প্রয়োজনীয় কথা বা তথ্য চালান হচ্ছে সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে!
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৫৫ শতাংশের মত, শুধু যৌন জীবনই নয়, অত্যধিক ফোন ব্যবহারের কারণে নিজেদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্কও ব্যাহত হচ্ছে। ৩৫ শতাংশ জানাচ্ছে, মোবাইল আসক্তির কারণে তাদের মধ্যে বিশেষ কোনো শারীরিক সম্পর্ক নেই বহুদিন ধরে।
এ চিত্র শুধু আমেরিকার নয়, প্রযুক্তি যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এ প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে বলে দাবি মনোবিদদের।
খবরটি শেয়ার করুন