ছবি: সংগৃহীত
গর্ভধারণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিবাহিত নারীদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা থেকে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, এ অঞ্চলে নারীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
‘দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ সাউথইস্ট এশিয়া জার্নালে’ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার ‘খর্বাকৃতি’ এখনো একটি সমস্যা। বিশেষ করে, ভারত ও বাংলাদেশে এ সমস্যা এখনো প্রকট। ফলে শৈশবে অপুষ্টি ও এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে যাচ্ছে। ভারতে খর্বাকৃতির মানুষের অনুপাত আনুমানিক ১০ দশমিক ৭ শতাংশ।
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন ও ভারতের পপুলেশন কাউন্সিলের গবেষকরা সন্তান ধারণের আগে নারীদের পুষ্টির অবস্থা বুঝতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় জরিপ; যেমন ভারতের ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে থেকে সংগৃহীত উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছেন।
গবেষক দলটি জনসংখ্যার মধ্যে রক্তস্বল্পতা ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ঘাটতির বিস্তারসহ সন্তান ধারণের আগে পুষ্টির বিভিন্ন দিকসম্পর্কিত একাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। তারা গর্ভধারণের আগের পুষ্টি নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচিও পর্যালোচনা করেছে।
গবেষণাপত্রের লেখকরা বলেছেন, জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ ডেটার বিশ্লেষণে দক্ষিণ এশিয়ায় গর্ভধারণের আগে নারীদের মধ্যে অপুষ্টির ক্রমবর্ধমান সমস্যা বজায় থাকতে দেখা গেছে। যেখানে বিবাহিত নারীদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের (২৯ শতাংশ থেকে ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত) প্রবণতা এখন কম ওজনের (৪ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ) প্রবণতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
গবেষকরা বলেছেন, নগরায়ণ, অভিবাসন ও গ্রামীণ এলাকায়ও অতি প্রক্রিয়াজাত খাবারের সহজলভ্যতা বেড়ে যাওয়ায় ফ্যাট, চিনি ও ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। এটি পুষ্টির অবস্থাকে আরও খারাপ করছে। তারা আরও যোগ করেন, সরকারি নানা উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ায় রক্তস্বল্পতা এখনো উদ্বেগজনক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে।
গবেষক দলটি আগে প্রকাশিত গবেষণাপত্রগুলো পর্যালোচনা করে দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের মধ্যে অপুষ্টির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক—মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতিও খতিয়ে দেখেছে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন