ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
মাসখানেক আগেও সাতক্ষীরার খুচরা বাজারে ফুলকপি বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১০০ টাকা। অথচ শীতকালীন এই সবজির দাম কমে নেমেছে ১২-১৫ টাকা কেজিতে। এছাড়াও সব ধরণের সবজির দামই এখন নিম্নমূখী। তবে জেলার সবজি চাহিদা মিটিয়ে দৈনিক ২৫ টন সরবরাহ হচ্ছে জেলার বাইরে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন তরকারির অভাব নেই। সেকারণে দামও একেবারে কমে গেছে। তালার মাঝিয়াড়া বাজারের খুচরা তরকারি বিক্রেতা জিয়ারুল সরদার জানান, তিন সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি বেগুনের দাম ছিল ১০০ টাকারও বেশি। এখন সব থেকে ভালো মানের বেগুন খুচরায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। টমেটোর কেজি ১০০ থেকে নেমে ৪০-৫০ টাকা, ওলকপি ১০-১২ টাকা, বাঁধা কপি ১০ টাকা ও ফুলকপির কেজি ১০০ থেকে নেমে ভালো মানেরটা বিক্রি হচ্ছে ১২-১৫ টাকায়।
পাইকারি বাজারে মূল্য আরও কম। ক্রেতা ফারুক খাঁন বলেন, শীতকালীন সবজির বাজারে এখন স্বস্তি নেমেছে। এক মাস আগের দামের তুলনায় এখন দাম সর্বনিম্ন। আলুর দামও কমেছে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। আরেক ক্রেতা রেজাউল ইসলাম জানান, তরকারির দাম অনেক কমে গেছে। নিম্নআয়ের মানুষরা এখন সবজি ক্রয় করে খেতে পারছেন।
সাতক্ষীরা কৃষি ও বিপণন কর্মকর্তা সালেহ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় শীতকালীন সবজির কোনো ঘাটতি নেই। বরং জেলা থেকে দৈনিক ২০-২৫ টন, বাঁধা কপি, ফুলকপি, সিমসহ নানা ধরণের সবজি ঢাকা, বরিশাল, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হচ্ছে। জেলায় সবজি বাজার এখন একেবারেই নিম্নমূখী। এর থেকে নিচে নামলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কৃষকও যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য বাজার ব্যবস্থাপনায় মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন