ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার কয়েকজন কৃষক ইউটিউব দেখে আগ্রহী হয়ে ২০০ শতাংশ জমিতে দশটি জাতের বেগুন, টমেটো এবং শষা চাষ করেছেন। এসব ফসল বিক্রি করে পরিবারের দারিদ্র্য দূর হয়েছে। এসব সবজি বিদেশে রফতানির উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
জানা যায়, নিরাপদ সবজি চাষের জন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়ন বিখ্যাত। এ ইউনিয়নের গয়হাটা গ্রামের কৃষক লালন ইউটিউবে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ভিডিও প্রতিবেদন দেখে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকদের সাথে নিয়ে পার্টনারে ২০০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষ করার উদ্যোগ নেন। ফসলের মাঠ পরিচর্যাসহ অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে তারা সফলও হয়েছেন। তাদের সম্বন্বিত এ পদ্ধতিতে চাষকৃত ফসলের জমিতে লম্বা বেগুন, গোল বেগুন, লাউ বেগুনসহ ১০ জাতের বেগুন চাষ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: প্রথমবারেই গাজর চাষে সফল নূর আলম
৮০ শতাংশ জমিতে ১০ জাতের বেগুন, ৬০ শতাংশ জমিতে নাবি জাতের টমেটো এবং ৬০ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন জাতের শষা চাষ করেছেন। এ ফসলের মাঠে কোন প্রকার ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। এখানে পরিবেশ বান্ধব মার্চিং পদ্ধতিতে পোকামাকড় দমন করা হয়। জমিতে দেয়া হয় পরিবেশবান্ধব প্রাকৃতিক সার। এ কারণে সবজির ফলন হয়েছে দ্বিগুণ। নিরাপদ সবজি হওয়ায় এ প্রজেক্টে উৎপাদিত সবজির চাহিদা রয়েছে স্থানীয় হাট-বাজারে। পাশাপাশি এসব নিরাপদ সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজারে। অনেকে আবার জমি থেকেই কিনে নিয়ে যান সবজি। নিরাপদ সবজি বিক্রি করে দরিদ্র এসব কৃষকদের পরিবারগুলো হয়েছে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল।
কৃষকরা জানান, এলাকার সবজি চাষিদের সবধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ থেকে এ অঞ্চলের নিরাপদ সবজি বিদেশে রফতানি করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
নাগরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের আগত গয়হাটা গ্রামের কৃষকদের মতো আগ্রহী হয়ে এভাবে সমন্বিত পদ্ধতিতে সারাদেশে নিরাপদ ফসল উৎপাদন করা গেলে দেশ উপকৃত হবে।
এসি/ আই.কে.জে