সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোথা দিয়ে উঠবেন-নামবেন, খরচ কত

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, ২রা সেপ্টেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার (২র সেপ্টেম্বর) ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ উদ্বোধন করবেন। আগামীকাল রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে এতে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারবে।

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা যাবে এবং নামা যাবে। যানজট পেরিয়ে একবার উঠতে পারলে খুব কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

যাঁরা ফার্মগেট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, কাঁঠালবাগান, গ্রিনরোড অথবা শাহবাগ, সেগুনবাগিচা ও পুরান ঢাকা থেকে এসে উড়ালসড়কে উঠতে চান, তাঁদের যেতে হবে বিজয় সরণি ওভারপাস অথবা তেজগাঁও এলাকায়।

বিজয় সরণি হয়ে র‍্যাংগস ভবন ভেঙে যে ওভারপাসটি তৈরি হয়েছে, সেটিতে উঠে তেজগাঁওয়ে যাওয়ার আগেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। তেজগাঁও থেকে বিজয় সরণির দিকে আসতে ওভারপাসে আরেকটি সংযোগ রয়েছে ওঠার জন্য।

রাজধানীর দক্ষিণ, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের মানুষের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার এই পথটিই সহজ। তবে যাঁরা বনানী যেতে পারবেন, তাঁরা বনানী রেলস্টেশনের সামনে দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবেন।

উত্তর দিক থেকে এসে নামার জন্য সহজ পথ ফার্মগেটের ইন্দিরা রোড। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউমার্কেটগামী যানবাহনের ইন্দিরা রোডে নামাই সুবিধাজনক।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার আরও পথ রয়েছে।

দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান

১. হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা।

২. প্রগতি সরণি এবং বিমানবন্দর সড়কের আর্মি গলফ ক্লাব।

দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান

১. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ।

২. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।

৩. ফার্মগেট প্রান্তে ইন্দিরা রোডের পাশে।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন ওঠার স্থান

১. বিজয় সরণি ওভারপাসের উত্তর ও দক্ষিণ লেন।

২. বনানী রেলস্টেশনের সামনে।

উত্তর অভিমুখী যানবাহন নামার স্থান

১. মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে।

২. বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর সামনে বিমানবন্দর সড়ক।

৩. কুড়িল বিশ্বরোড

৪. বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনালের সামনে।

সেতু বিভাগের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে ওঠার চিন্তা করবেন না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পথচারীরা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না।

সেতু বিভাগ বলছে, মূল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। আর ওঠা-নামার স্থানে (র‍্যাম্প) সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

টোল কত

চলাচল করতে যানবাহনকে টোল দিতে হবে। টোল হার যানবাহনের শ্রেণিভেদে ভিন্ন।

শ্রেণি-১: কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাক (৩ টনের কম)—টোল ৮০ টাকা।

শ্রেণি-২: মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত)—টোল ৩২০ টাকা।

শ্রেণি-৩: ট্রাক (৬ চাকার বেশি)—টোল ৪০০ টাকা।

শ্রেণি-৪: সব ধরনের বাস (১৬ সিট বা তার বেশি)—টোল ১৬০ টাকা।

উল্লেখ্য ২০০৯ সালে  ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পটি নেওয়া হয়। ২০১১ সালে  এটি নির্মাণের চুক্তি হয়। 

এম.এস.এইচ/ আই. কে. জে/  

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

খবরটি শেয়ার করুন