বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন লাগবে না *** ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসিকে চিঠি *** বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীদের শর্ট স্লিভ ড্রেস ও লেগিংস নিষেধ, পরতে হবে শালীন পোশাক-হিজাব *** সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা *** জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন বিশ্ব আদালত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ *** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের দুই নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১২ই জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই নারী। তাঁরা হলেন চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী।

সম্প্রতি সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ ২০২৩ সালে এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করে। সেখানেই জায়গা করে নিয়েছেন এই দুজন।

দেশের অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা লাইফ সায়েন্সে ভূমিকা রাখায় তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। বৈশ্বিক স্বাস্থ্য গবেষণায় সমতা অর্জনে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভূমিকা রাখছেন তিনি। তাঁর দলই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের জিন নকশা উন্মোচন করে। এ ছাড়া চিকুনগুনিয়া ভাইরাস যে শুধু রক্তে নয়, শিশুদের মস্তিষ্কে ছড়িয়ে মেনিনজাইটিস রোগ সৃষ্টি করতে পারে, তা উন্মোচন করেছেন সেঁজুতি সাহা।

আরেক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী ‘সাসটেইনেবিলিটি’ খাতে অবদানের জন্য তালিকায় স্থান পেয়েছেন। জলজ বাস্তুতন্ত্র ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০২২ সালে ওডাব্লিউএসডি-এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। এ ছাড়া প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করেন তিনি। মাছ ধরার পরিত্যক্ত জাল দিয়ে কিভাবে কার্পেটের মতো পণ্য বানানো যায়, তা শেখানোর মাধ্যমে গরিব ও প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছেন এই বিজ্ঞানী।

এর মাধ্যমে ওই নারীদের জন্য বিকল্প আয়ের উৎস তৈরির পাশাপাশি জলজ বাস্তুতন্ত্র রক্ষায় অবদান রাখছেন। তিনি জুওলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সদস্য।

‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ সাময়িকী জানিয়েছে, এই তালিকায় এমন সব গবেষক স্থান পেয়েছেন, যাঁরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনন্য কাজের মাধ্যমে মানুষের জীবন ও পরিবেশের উন্নতিতে অবদান রাখছেন। এশিয়ার গবেষকরা বড় স্বপ্ন দেখা অব্যাহত রেখেছেন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা করে যাচ্ছেন। নিজের দলের সহায়তায় বাধা পেরিয়ে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছেন তাঁরা।

এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় গত এক দশকে নতুন করে এইআইভি/এইডস সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা, বাংলাদেশি শিশুদের মধ্যে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস ও মেনিনজাইটিসের সংযোগ শনাক্ত করা অন্যতম।

ওআ/

এশিয়া বিজ্ঞানী

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন