ছবি: সংগৃহীত
কালো স্বপ্নজাল
খোকন কুমার রায়
অদ্ভুত এক স্বপ্ন দেখে আতংকে
ঘুম ভাঙ্গে অমাবস্যার রাতে!
দেখি মাকড়সার জালের মতো দেখতে
কালো জালে আটকে গেছি আষ্টেপৃষ্ঠে
মুক্ত হবার চেষ্টা চলছে অবিরত!
চারদিক থেকে আসছে মাংশাসী সব কীটপতঙ্গ
দলবেঁধে হামলে পড়ছে বন্দী দেহের উপর!
একটু একটু করে খেয়ে নিচ্ছে সব
আমার মস্তিষ্ক, হৃদয়,স্বপ্ন, বাঁচা সব কিছু!
অসহ্য যন্ত্রণার আর্তনাদ ছাপিয়ে যাচ্ছে
লোকালয়,অরন্য,পাহাড়, শুন্য হতে মহাশুন্যে
কিন্তু কিছু শুনতে বা দেখতে পাচ্ছে না কেউ!
চারপাশের মানুষগুলো কি তবে অন্ধ বধির
এটা কি তাহলে অন্ধ বধিরের রাজ্য?
কিংবা আমিই বাকরুদ্ধ
কন্ঠ নালী খেয়ে গেছে চেনা ভাইরাস!
তবুও বৃথা চেষ্টা চালাই
দুর্দিনের বার্তা পৌছাবার!
চলতে থাকে যন্ত্রণার ক্রমসংযোজন
অপেক্ষায় আর কতক্ষন, কতকালে
হবে চিরচেনা অস্তিত্ব বিয়োজন!
তারপর হই অবাক,আমারই হৃদয়জাত শিশু
আমার হৃদপ্লাবিত রক্ত লাল রং ভেবে
কাঁচা হাতে আঁকছে নতুন ভোর
আমার চক্ষুদ্বয় তখনো ছিলো অটুট
হয়ত নতুন স্বপ্ন দেখবার আশায়!
হঠাৎ ভেঙ্গে যায় ঘুম
মনে হলো আছে দেহে সামান্য প্রান
মন তখনো আচ্ছন্ন,কাটেনি দুঃস্বপ্নের ঘোর
চোখ দুটি বিস্ফোরিত, আঁধারের বন্যায়!