বামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জোসেফ রবিনেট বাইডেন জুনিয়র এবং ডানে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা আগে থেকেই নিহত ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বড় কোনো বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার পরে তারা কয়েকবার প্রকাশ্যে তাকে সতর্কও করেছিলেন যে তিনি ক্রেমলিনের হাতে নিহত হতে পারেন।
গত জুলাইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, “আমি যদি প্রিগোজিন হতাম, তবে আমি কী খাচ্ছি তা নিয়েও সতর্ক থাকতাম। আমি সব সময় আমার মেনুতে চোখ রাখতাম।”
সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও বাইডেনের ভাষাতেই কথা বলেছিলেন। বিল বার্নস উল্লেখ করেছিলেন যে পুতিনের প্রতিশোধ নেওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
বার্নস জুলাইয়ে বলেছিলেন,“আমার অভিজ্ঞতায়, আমি অবাক হব যদি প্রিগোজিনের বিষয়ে কোনো প্রতিশোধ না নেওয়া হয়।”
ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, “আমি যদি প্রিগোজিন হতাম, আমি খুব উদ্বিগ্ন থাকতাম। ন্যাটোর একটি ‘ওপেন-ডোর পলিসি’ রয়েছে, আর রাশিয়ার রয়েছে ‘ওপেন-উইন্ডোজ পলিসি।”
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে রুশ সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) রাশিয়ায় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে তিনি নিহত হয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাশিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ১০ জনই ছিলেন। রাশিয়া যে ১০ জন নিহতের তালিকা দিয়েছে তাতে ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের নাম রয়েছে।
এম.এস.এইচ/
খবরটি শেয়ার করুন