সোমবার, ১লা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর সূতিভোলা খালে ৪০ বছর পর চলল নৌকা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, ১৩ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

কচুরিপানায় ভরা রাজধানীর বাড্ডা এলাকার সূতিভোলা খালে ৪০ বছর পর চলেছে নৌকা। খালটি সংস্কার করে হাতিরঝিল এবং তুরাগ নদের সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বুধবার (১৩ই ডিসেম্বর) খাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, সূতিভোলা খাল সচল রাখতে প্রয়োজনীয় সবই করবে সিটি করপোরেশন। বাড্ডার সাঁতারকুল সুতিভোলা খাল থেকে রামপুরা খাল পর্যন্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থাও চালু করা হবে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম স্থানীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে সাতারকুল ব্রিজের নিচ থেকে নৌকায় চড়ে সরেজমিনে সূতিভোলা খাল পরিদর্শন করেন। 

মেয়র বলেন, ৪০ বছর পর সূতিভোলা খাল দিয়ে নৌকায় চড়ে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াত করছি। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৪০-৫০ বছর আগে ঐতিহ্যবাহী সূতিভোলা খাল দিয়ে নিয়মিত নৌকা চলত। কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল নিয়ে মানুষ এই খাল দিয়ে নৌকায় করে যাতায়াত করত। আজ সুতিভোলা খাল দিয়ে নৌকা চলল।

তিনি বলেন, খালটি এক সময় ভরাট হয়ে গিয়েছিল ময়লা-আবর্জনায়। খালের ওপর দিয়ে মানুষ হাঁটত। গত ৪০ বছর এই খালে কোনো সংস্কার করা হয়নি। খালের কিছু জায়গা দখল করে ভরাট করা হয়েছে। দখলদারদের অনেকে নিজেদের ইচ্ছায় সবকিছু করেছে। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় সবকিছু হবে না। দখল ও দূষণমুক্ত করে হাতিরঝিলের আদলে সূতিভোলা খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে। বর্তমানে ফ্লোটিং এক্সেভেটর দিয়ে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হচ্ছে। সূতিভোলা খাল থেকে সাঁতারকুল হয়ে আমরা আফতাবনগর পর্যন্ত যেতে চাই। সেখান থেকে একদিকে বালু নদী অন্যদিকে হাতিরঝিল পর্যন্ত নৌ চলাচলের ব্যবস্থা চালু করতে চাই।

উত্তরের মেয়র বলেন, সিটি জরিপ নয়, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে। খালের পাশে প্রচুর ময়লা-আবর্জনা, এই খাল ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। খাল পাড়ে বাড়ি উঠে গেছে। একটা বাড়ি খালের পাশে উঠে গেল দেখার কেউ নেই! কে অনুমতি দিয়েছে? কীভাবে অনুমতি দিল সেটা যাচাই করতে সব ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। আবার খালের ভেতর বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরি করে মাছ চাষ করছে। এগুলো কারা করছে? এভাবে খাল দখল করে বাড়ি যা খুশি তাই করা যাবে না। খালের সীমানা ছেড়ে মাছ চাষ করেন। জনগণের খাল ব্যবহার করে মাছ চাষ করা যাবে না। 

আরো পড়ুন: ‘দেয়ালে পোস্টার লাগালে গলায় জুতার মালা দেওয়া হবে’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি খালের উন্নয়ন বড় ধরনের পরিকল্পনা করেছে। খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেইন এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে। এজন্য অর্থ প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে দাতাদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। আমরা নেচারবেইজড সল্যুশন চাই। খালে পানি থাকলে নৌ চলাচল করবে। খালের পানি পরিষ্কার থাকলে সেখানে মাছ চাষ করা যাবে, মশা হবে না। এটা করতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। আমরা পরিকল্পনা বিভিন্ন সংস্থাকে দিব। এডিবি এগিয়ে এসেছে। আমি মনে করি অন্যান্য সংস্থাও এগিয়ে আসবে এই শহরকে বাঁচানোর জন্য।

পরিদর্শনের সময় মেয়রের সঙ্গে এডিবির একজন পরামর্শক এবং বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক মুজিবুল হক ছিলেন। এ ছাড়া ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসকে/ 

রাজধানী মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সূতিভোলা খাল

খবরটি শেয়ার করুন