ছবি: সংগৃহীত
চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের ‘ডেটা স্ক্র্যাপিং’ বন্ধ করলেও জেনারেটিভ এআই চালিত সাংবাদিকতা নিয়ে আপত্তি নেই বিবিসি’র।
সম্প্রতি সাংবাদিকতায় জেনারেটিভ এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে নীতিমালা প্রকাশ করেছে সুপরিচিত এই সংবাদ সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকতাবিষয়ক গবেষণা, তথ্য সংরক্ষণ ও ‘পার্সোনালাইসড’ অভিজ্ঞতার মতো বিষয়।
এক ব্লগ পোস্টে বিবিসি’র পরিচালক রড্রি টাফলান ডেভিস বলেন, তার সংস্থার বিশ্বাস, ‘গ্রাহক ও সমাজের কাছে সংবাদ পৌঁছানোর’ ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি বড় ভূমিকা রাখবে।
প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবিসি’র তিনটি মূল নির্দেশনা হল, সব সময় জনস্বার্থের পক্ষে কাজ করা, শিল্পীদের অধিকার রক্ষার্থে মেধা ও সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দেওয়া ও এআইয়ের তৈরি আউটপুটের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ মনোভাব রাখা।
বিবিসি বলেছে, নিরাপদ উপায়ে জেনারেটিভ এআই বিকাশ নিয়ে তারা বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি, গণমাধ্যম সংস্থা ও নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে কাজ করবে ও সংবাদ খাতে আস্থা বজায় রাখার বিষয়টিতে মনযোগ দেবে।
“আসন্ন মাসগুলোয় আমরা বেশ কিছু নতুন প্রকল্প শুরু করব, যেখানে জেনারেটিভ এআই থেকে আমরা কী তৈরি করছি ও কীভাবে কাজ করছি- সে বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে। ফলে, এই প্রযুক্তির সুবিধা ও ঝুঁকি উভয় বিষয়েই ধারণা মিলবে।” --পোস্টে বলেন ডেভিস।
“বিবিসি’র কাজের ক্ষেত্রে জেনারেটিভ এআই কীভাবে সহায়তা দেবে এমনকি এতে রূপান্তর ঘটাবে, সেইসব বিষয়ও জানা যাবে এইসব প্রকল্পের মাধ্যমে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবাদিকতাবিষয়ক গবেষণা, কনটেন্ট খোঁজা, আর্কাইভিং ও পার্সোনালাইসড অভিজ্ঞতার মতো বিষয়গুলোও।”
ভার্জের পাঠানো ইমেইল বার্তায় প্রকল্পগুলো নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়নি বিবিসি।
এদিকে, ওপেনএআই ও ‘কমন ক্রল’-এর মতো সাইটকে নিজস্ব ওয়েবসাইটের কপিরাইট করা তথ্য সংগ্রহে বাধা দিচ্ছে বিবিসি। এর আগে একই পদক্ষেপ নিয়েছে সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, রয়টার্সের মতো সংবাদ সংস্থাগুলো।
ডেভিস বলেন, লাইসেন্স ফি প্রদানকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আর অনুমতি ছাড়া এআই মডেলে বিবিসি’র ডেটা প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টিও জনস্বার্থের পক্ষে নয়।
একে/