ছবি: সংগৃহীত
অনেকের কাছে পরিচিত বা পছন্দের তালিকায় বালুচরী শাড়ি; আবার অনেকে হয়তো চিনেনই না। আপনার পছন্দের বালুচরী শাড়িটা বানাতে কতটা সময় ব্যয় হয়েছে জানলে চোখ কপালে উঠবে।
এত সূক্ষ্ম এবং নিপুণ এই শাড়ি বানাতে একজন নয়, প্রয়োজন একাধিক মানুষের হাড়ভাঙা পরিশ্রম। দৈহিক পরিশ্রম ছাড়াও দরকার কঠিন একাগ্রতা, একটু এদিক ওদিক হলেই আপনার নিখুঁত শাড়িটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করা হয় বালুচরী শাড়ি। হাতে বোনা বলেই রয়েছে ত্রুটির জায়গা। ফলে নিখুঁত শাড়ি তৈরি করতে কখনও কখনও ১০ দিন পর্যন্ত এক নাগাড়ে কাজ করতে হয় একজনকে।
বালুচরী তিন ধরনের, সাধারণ এক সুতোর বালুচরী, দুই সুতোর বিশেষ মিনাখালী বালুচরী এবং স্বর্ণচরি। ঘট ঘট আওয়াজ আর পায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাতের কাজ। দেখে মনে হবে তাঁতী তার ইচ্ছে মত হাত পা নাড়ছেন আর নিজে থেকেই তৈরি হচ্ছে শাড়ির নকশা। বড় ভুল করবেন যদি এমনটা ভেবে থাকেন।
আরও পড়ুন : বিটের রস পান করলে কমে যাবে অনেক রোগের ঝুঁকি
আপনার পছন্দের বালুচরী শাড়ির নকশা এবং বুনন সবই আগে থেকে নির্ধারিত করা থাকে। তারপর সেই মাপ বুঝে নিপুণ হাতে মনযোগ সহকারে চলে তাঁতিদের কাজ। কাজ নয়! এ যেন আরাধনা। তাই পুরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বালুচরী শিল্পী অরুণ দে জানান, একটি হাতে বোনা আসল বালুচরী শাড়ি মা, মেয়ে এবং নাতনি মিলে পডরেও নষ্ট করতে পারবে না।