ছবি : সংগৃহীত
এ সময় যে শাকগুলো বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে পালং অন্যতম। একে সুপারফুড বলা হয়। তার যথেষ্ট কারণও আছে। পালং শাকের পুষ্টিগুণ অনেক। তার মানে এই নয় যে আপনি যখন ইচ্ছে কিংবা যতটুকু পরিমাণ ইচ্ছে এই শাক খেতে পারেন।
শুধু তাই নয়, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে হাড় মজবুত করতেও পালংশাক খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি সব দিক থেকে স্বাস্থ্যকর, এর মানে এই নয় যে আপনি যখনই ইচ্ছে এবং যত খুশি পরিমাণে খেতে পারেন এই শাকটি।
দিনে দুই থেকে তিনবার পালং শাক খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, উপকারি হলেও এই শাক অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত পরিমাণে পালং শাক খেলে কী হয় এবং কোন কোন রোগ থাকলে এই শাক এড়িয়ে চলা ভালো-
ডায়রিয়া
মেডিসিননেট ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, পালংশাক বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। এই শাকে থাকা ফাইবার হজম হতে সময় নেয়। ফলে গ্যাস থেকে শুরু করে নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়।
কিডনিতে পাথর
অতিরিক্ত পরিমাণে পালং শাক খেলে কিডনিতে পাথরের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কেননা এই শাক প্রস্রাবের ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়।
বিষক্রিয়া
একবারে কিংবা একাধিকবার খুব বেশি পরিমাণ পালং শাক খেলে শরীরে বিষাক্ত প্রভাব শুরু হতে পারে।
পেট সমস্যা
পালং শাক হজমে সহায়ক। তবে এতে উচ্চ ফাইবার উপাদান থাকায় অতিরিক্ত পালং শাক পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। বেশি পরিমাণ পালং খেলে গ্যাস, ফোলাভাব ও ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন : বদহজম দূর করতে করুন এই ৩ যোগাসন
এলার্জি
সবুজ শাক-সবজিতে থাকে হিস্টামিন নামক উপাদান। এটি এমন একটি রাসায়নিক যা শরীরের কিছু কোষে পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে এটি অ্যালার্জির কারণ হয়।
দৈনিক কতটুকু পালং শাক খাওয়া যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন এক বাটি পালং শাক খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি শরীরের উপর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও করবে না। এর বেশি খেলে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
কাদের জন্য পালং শাক খাওয়া বিপজ্জনক?
কিছু কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে পালং শাক না খাওয়াই ভালো। এতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকলে
যাদের কিডনিতে পাথর আছে এমন ব্যক্তিদের পালং শাক না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, বেশি করে পালংশাক খেলে শরীরে বেশি অক্সালিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটি সিস্টেম থেকে অপসারণ করা আমাদের শরীরের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন জমা হয়। যা কিডনিতে পাথরের সমস্যা বাড়ানোর জন্য দায়ী।
জয়েন্টের সমস্যায় ভুগলে
অক্সালিক অ্যাসিডের পাশাপাশি পালং শাকে থাকে পিউরিন নামে এক ধরনের যৌগ। এই দুটি যৌগ এক সঙ্গে গাউট ট্রিগার করতে পারে। জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত পালং শাক না খাওয়াই ভালো। এতে ব্যথা আরও বাড়তে পারে।
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। এটি রক্ত পাতলা করার ওষুধের সঙ্গে বিষক্রিয়া করে। আপনি যদি রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, ডায়াবেটিক হন বা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে পালং শাক এড়িয়ে চলুন।
এস/ আই. কে. জে/