ছবি-সংগৃহীত
এ বছরটি বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এটাও বলছে,চলতি বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা কল্পনারও বাইরে ছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প স্তরের তুলনায় ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়েও বেশি উষ্ণ হবে।
গত জুনের পর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসের তাপমাত্রা আগের মাসের তাপমাত্রার রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। গত নভেম্বরেরর তাপমাত্রা প্রাক–শিল্প যুগের তুলনায় ১ দশমিক ৭৫ ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল। এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে, আগমী বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে বিজ্ঞানী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ইউনিয়ন অফ কনসার্নড সায়েন্টিস্টের জলবায়ু বিজ্ঞানের পরিচালক ব্রেন্ডা একউরজেল বলেন, ধনী দেশগুলো সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ করে। পৃথিবীর তাপমাত্রা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছানোর পেছনে তারাই দায়ী। জীবাস্ম জ্বালানি কামনোর ব্যাপারে অবশ্যই তাদেরকে দায়িত্ব নিতে হবে।
আরো পড়ুন: হেমন্তের অঙ্গনে দাঁড়িয়ে দুরন্ত শীতকে অভ্যর্থনা জানায় ছাতিম
২০২৩ সাল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হওয়ার পেছনে এল নিনোর প্রভাব ও মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তন ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
কোপার্নিকাসের বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগামী বছরগুলোতে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়ামের সীমারেখা অতিক্রম করবে বলে মনে হচ্ছে।
বিগত কয়েক মাসের তাপমাত্রার পরিসংখ্যান দেখে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ২০২৩ সাল হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। এর আগে সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলন কপ–২৮ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, মানবতার ইতিহাসে ২০২৩ সালই হতে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।
এসি/ আই.কে.জে/