বৃহস্পতিবার, ২৪শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কিনতে রিটার্ন লাগবে না *** ঝুঁকিপূর্ণ সব ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ইসিকে চিঠি *** বাংলাদেশ ব্যাংকে নারীদের শর্ট স্লিভ ড্রেস ও লেগিংস নিষেধ, পরতে হবে শালীন পোশাক-হিজাব *** সচিবালয়ে ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা *** জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিলেন বিশ্ব আদালত *** প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমানবাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ *** এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হচ্ছে না, নতুন রুটিন প্রকাশ *** বাগমারা বিদ্যালয়ের নাম বদল, নতুন নাম শহীদ জিয়া বিদ্যালয় *** মতপার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

লাতিন আমেরিকায় চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৪ অপরাহ্ন, ৭ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ইউএস সাউথার্ন কমান্ড (সাউথকম) জেনারেল লরা রিচার্ডসন বলেন, চীন তার কুখ্যাত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ দ্বারা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে বিনিয়োগ ও পরিকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি চলে আসছে।

পশ্চিম সীমান্তে যদিও এখনও চীনা ঘাঁটি নেই, তবুও ২০১৯ সালে কিউবায় গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সুবিধা গ্রহণের জন্য চীনা ঘাঁটি তৈরির খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে বিশেষ করে, পানামা খাল এবং ম্যাগেলান প্রণালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ জলপথ বরাবর গভীর জলবন্দর নির্মাণের জন্য চীন দ্বৈত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে বলে জানান রিচার্ডসন। 

দক্ষিণ এবং মধ্য আমেরিকাতে চীনা টেলিকম অবকাঠামোর বিস্তারের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এখানকার পাঁচটি দেশ ইতিমধ্যে ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য চীনাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। আরও ২৪টি দেশ তাদের ৩জি ও ৪জি মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল। চীন তাদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করেছে যেন মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য তারা চীনের উপরেই নির্ভরশীল থাকে।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র কোনও ধরনের সুবিধাই প্রদান করতে পারেনি।

দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা জুড়ে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য চীনের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে চীন সামরিকভাবে অনুপ্রবেশ চালাতে পারে। সাউথকমের রিচার্ডসন মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় চীনের প্রবেশ সম্পর্কে এই প্রথমবারই সতর্ক করছেন না। পূর্বেও তিনি বারবার এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। 

ইতিমধ্যে লাতিন আমেরিকার ৩১টি দেশের মধ্যে ২১টিই বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে স্বাক্ষর করেছে এবং ১৭টি দেশ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।

আরো পড়ুন: সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু বলেন, আজ পর্যন্ত, বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ দেশ এই উদ্যোগে যোগ দিয়েছে। ফলে ৪,২০,০০০ জনের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া সারাবিশ্বকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ এর গুরুত্ব অনেক।

তিনি বলেন, চীন কখনোই অন্য দেশের উপর তার প্রকল্পকে চাপিয়ে দেয় না, বরং অন্যান্য দেশই এ প্রকল্পের সুবিধা দেখে এ প্রকল্পটিকে সমাদরে গ্রহণ করছে।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকা চীনা বিনিয়োগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন