ছবি: সংগৃহীত
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সম্মিলিত জোট ব্রিকস। আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট জোটটির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৪০টিরও বেশি দেশ যোগ দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও চীন-আফ্রিকা উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক কেনিয়ার গবেষক ক্যাভিন্স অ্যাডহেয়ার।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন অ্যাডহেয়ার। এসময় তিনি বলেন, ৪০টিরও বেশি দেশ বলেছে যে, তারা শীর্ষ সম্মেলনে ব্রিকসে যোগ দিতে চায়। এতে দেখা যায়, গ্রুপটি কতটা জনপ্রিয়। বেশিরভাগ দেশ মনে করে ব্রিকসে যোগ দিলে তারা তাদের উন্নয়নের সমস্যা সমাধান করতে পারবে। আফ্রিকান দেশগুলো আশা করে যে ব্রিকস তাদের সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের আরও সুযোগ দেবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিকস দেশগুলোর জনগণ সমগ্র বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশেরও বেশি। এই বৃহৎ বাজারগুলোতে প্রবেশাধিকার আফ্রিকার অনেক উদীয়মান অর্থনীতির দেশকে দ্রুত বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করতে পারে।
এদিকে আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে কী ধরনের ফলাফল আসবে তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
সম্মেলনের ব্যাপারে ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাস জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির পর এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঁচটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের প্রতিনিধিরা সশরীরে সাক্ষাৎ করবেন।
এবারের ব্রিকস সম্মেলনে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নতুন সদস্যদের কীভাবে বাছাই করা হয় এবং কোন কোন দেশ যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তা নিয়ে বেশ আগ্রহ রয়েছে সবার।
এই বছরের শীর্ষ সম্মেলন 'ব্রিকস অ্যান্ড আফ্রিকা: পার্টনারশিপ ফর মিউচ্যুয়ালি এক্সিলারেটেড গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনক্লুসিভ মাল্টিলেটারেলিজম' প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজন করা হচ্ছে।
এবারের সম্মেলনের ব্যাপারে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফিলানি মেথিবু বলেন, 'এটি স্বীকৃত যে, গত কয়েক বছরে বহুপাক্ষিকতা সংকটে পড়েছে ব্রিকস। এটি যে উদ্দেশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা অর্জন করতে পারেনি। এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুপাক্ষিকতাকে শক্তিশালী করা। এবারের সম্মেলনে সেদিকেই নজর দেয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণও পেয়েছে বাংলাদেশ। জোহানেসবার্গের স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে (এসসিসি) এ শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।
খবরটি শেয়ার করুন