ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বিতীয় অংশের র্যাম্পটি (কারওয়ান বাজার- মগবাজার) চলতি মাসের ১৫ তারিখের আগেই খুলে দেওয়া হবে। কাজ চলমান অবস্থায় এ অংশটি খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার। ফলে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যানবাহন কারওয়ান বাজারের সড়কে নামতে পারবে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখের আগেই র্যাম্পটি খুলে দেওয়া হবে। প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে র্যাম্পটি পরিদর্শন করে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা ওঠার সংযোগ সড়ক হবে।
টোল আদায় প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক বলেন, আপাতত টোল বাড়ানোর পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে পুরোপুরি চালু হলে টোল বাড়তে পারে।
আরো পড়ুন: গত জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলের আয় ১৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যানবাহন নামার কারণে এখন ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডে চাপ রয়েছে। কারওয়ান বাজারের র্যাম্প খুলে দিলে মতিঝিল ও দক্ষিণমুখী যান তখন এই র্যাম্প ব্যবহার করবে। এতে ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডের চাপের বড় অংশ কারওয়ান বাজার ও আশপাশের সড়কে চলে আসবে।
ট্রাফিক পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, কারওয়ান বাজারের র্যাম্প চালু হলে আশপাশের সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়বে। এখানে ওঠার একটি সংযোগ সড়ক চালু হলে যানজট কম হবে। ট্রাফিক বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা র্যাম্পটি পরিদর্শন করার পর তারা কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে।
গত বছরের ২রা সেপ্টেম্বর এই মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। ৩রা সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলে দেওয়ার পর থেকে ৪ঠা মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮টি যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
এইচআ/