ছবি: সংগৃহীত
‘সেহরিতে আপনি এমন খাবার খাবেন যেন সারা দিন আপনি ঝরঝরে থাকতে পারেন এবং প্রাণবন্ত থাকেন। সারা দিন পিপাসার কষ্ট যদি আপনি না পেতে চান, সারা দিন যদি ঝরঝরে থাকতে চান, তাহলে সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করুন। মাছ, মাংস, ডিম বন্ধ রাখুন।
রমজানে শরীর সুস্থ রাখতে সেহরিতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। না হলে সারাদিন রোজা রাখা বেশ কষ্টকর হবে। যেহেতু একটানা দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকতে হয় রোজা রাখলে, তাই শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল।
এ কারণে রমজানে শরীরের সুস্থতা নির্ভর করে সেহরি ও ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপর। যেহেতু সেহরি করার মাধ্যমে সারাদিন না খেয়ে থাকার প্রস্তুতি নেওয়া হয়, তাই এ সময় রাখতে হবে পুষ্টিকর খাবার।
এ বিষয়ে ফরাজী হাসপাতাল লিঃ এর পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি জানান, ‘রমজানে অনেকেই সেহরিতে পোলাও, বিরিয়ানি কিংবা বিভিন্ন মুখোরোচক খাবার খান। যা একেবারেই ভুল খাদ্যাভাস।’
‘এসব খাবার খেয়ে রোজা রাখলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। কারণ এ ধরনের খাবারে কোনো পুষ্টিগুণ থাকে না। বরং এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।’
সেহরিতে যা খাবেন
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি পরামর্শ দেন, ‘গরমে রোজা রাখতে হলে শরীরের দিকে বাড়তি নজর রাখতে হবে। না হলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। গরমের এ সময় রমজানে সুস্থ থাকতে সেহরিতে অবশ্যই তরল খাবার বেশি রাখতে হবে।’
আরো পড়ুন: রোজা শরীরের যে সব উপকার করে জানলে অবাক হবেন
‘এক্ষেত্রে নরম ভাত কিংবা স্যুপ খেলে সবচেয়ে ভালো হয়। এর সঙ্গে ৪-৫ রকমের শাক-সবজি অবশ্যই রাখবেন ১৫০ গ্রামের মতো। লাউ, চালকুমড়াসহ পেট ঠান্ডা রাখে এমন শাকসবজি বেশি খেতে হবে রমজানে।’
‘সেহরিতে ২-৩ পিস মুরগির মাংস কিংবা এক পিস মাছ রাখতে পারেন।’ খাওয়ার পর এক গ্লাস দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন এই পুষ্টিবিদ।
এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ রুবাইয়া রীতি। না হলে শরীরে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে রমজানে খুব সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
এসি/ আই.কে.জে